ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আগরতলা

আগরতলার রাজবাড়িতেও দোলের রঙ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
আগরতলার রাজবাড়িতেও দোলের রঙ আগরতলার রাজবাড়িতে দোল উৎসব। ছবি: সুদীপ

আগরতলা: রাজন্য শাসিত ত্রিপুরা রাজ্যেও দোল উৎসবের প্রচলন ছিলো। রাজমহলের অন্দরে দোল উৎসবের প্রথম অনুমতি দিয়েছিলেন মহারাজা বীর চন্দ্র মানিক্য বাহাদুর। তিনি ১৮৬২ সাল থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। এর মধ্যে কোন এক বছর তিনি দোল উৎসব রাজপ্রাসাদের অন্দরে শুরু করেন বলে ধারণা করা হয়।

তারপর এই দোল উৎসব আরও ব্যপক প্রসার লাভ করে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের রাজত্বকালে। তিনি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত স্বাধীন ত্রিপুরার রাজা ছিলেন।

রাজপরিবারের সদস্য পূর্ণিমা রায় বাংলানিউজকে বলেন, তখন দোলকে কেন্দ্র করে ছিলো বিশাল আয়োজন, টানা ৭ দিন ধরে চলতো উৎসব। আবির খেলার পাশাপাশি নাচ-গানের ব্যবস্থাও ছিলো। দূরদূরান্ত থেকে গুণীজনেরা আসতেন। সবার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকতো রাজবাড়ির অন্দরে।
আগরতলা রাজবাড়িতে দোল উৎসব
তখন দোলের সময় দু’টি চৌবাচ্চা থাকতো রাজবাড়িতে। সেগুলোতে দুই রঙের আবির গোলা জল থাকতো। ছোটদের পাশাপাশি একে একে বড়দেরও চৌবাচ্চায় ফেলা হতো বলেও জানান পূর্ণিমা রায়।

প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের রাজপরিবারের অংশে এখনো রঙ খেলা চলে। তবে এখন ৭ দিন ধরে নয়, হোলি উৎসব হয় মাত্র ১ দিন।  

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজবাড়ি গিয়ে দেখা গেল, হোলি উৎসব চলছে। কেউ আবির নিয়ে রঙ খেলায় মশগুল। ওপরতলায় চলছে গানের আসর। এখনও দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে রাত পর্যন্ত দোলের আসর চলে রাজবাড়িতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।