ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে জমজমাট বিক্রি ‘বাইছা লন পণ্যের’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০
বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে জমজমাট বিক্রি ‘বাইছা লন পণ্যের’ দেইখ্যা-বাইছা লন হাঁকডাকে বিক্রেতা ব্যস্ত। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘দেইখ্যা লন, বাইছা লন, এক দাম, এক রেট’ এসব শব্দের সঙ্গে পরিচিত গুলিস্তান, পল্টন, সদরঘাট কিংবা নিউ মার্কেটের ফুটপাতে গেলে। তবে, এসব পণ্যের পসরা ২৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার প্রথম দিন থেকেই চোখে পড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। তবে শেষ দিকে তাদের পণ্যই আধিপত্য বিস্তার করে। আর শেষ দিনে ‘দেইখ্যা-বাইছা লন, এক দাম, এক রেটের’ পণ্যের জমজমাট বিক্রি চলছে।

শেষ দিন মেলার শুরু থেকে দর্শনাথীদের মন কাড়ে। দামে সস্তা হওয়ায় বিক্রির পরিমাণ ছিলো অন্য সব দিনের তুলনায় বেশি।

তাদের পণ্য ছিলো বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব ধরনের স্টলে। তাদের পণ্যের মধ্যে আছে ক্রোকারিজ, থ্রি-পিস, টু-পিস, ওড়না, স্কার্ফ, খেলনা সামগ্রী। দাম ৩০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। পছন্দের পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজবৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীল আগারগাঁও বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার প্রাধন ফটক দিয়ে মেলায় প্রবেশ করে হাতের বামে চোখে পড়বে ইরানি প্যাভিলিয়ন। এ প্যাভিলিয়নের বিক্রেতার হাঁকডাক ‘দেইখ্যা লন, বাইছা লন, এক দাম, এক রেট, ১০০’! মাত্র ১শটাকায় এখানে পাওয়া যাচ্ছে ক্রোকারিজ সামগ্রী যেমন কড়াই, ননস্টিকের বিভিন্ন পাতিল, চামচ ইত্যাদি। এ প্যাভিলিয়নের আরেক পাশে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২০ টাকায় স্কার্ফ ও ওড়না। এখানেও রয়েছে একই হাঁকডাক। পছন্দের পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজবাণিজ্যমেলার চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশ দিয়ে একাধিক স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ‘দেইখ্যা লন, বাইছা লন, এক দাম, এক রেটের’ নানা পণ্য। রয়েছে খেলনা সামগ্রী। একই দামে স্টল ছাড়াই হকারের কাছেও পাওয়া যাচ্ছে নানা পণ্য। দিনভর ক্রেতার নজর কাড়ে তাদের এসব পণ্য।

মেলায় আগত শাম্মী নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, কম দামে অনেক পণ্য কিনেছি, জানি না টেকশই কতটুকু হবে। তবে, পণ্য দেখে মনে হচ্ছে একেবারে খারাপ হবে না।

হাবিব নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের অনেক পণ্য এবারের মেলায় বিক্রি হয়েছে। তবে, এখনো কিছু পণ্য বাকি আছে। যেগুলো ৩০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছি। আমরা কোনো পণ্য মেলার মাঠ থেকে দোকানে ফেরত নিয়ে যেতে চায় না, এজন্যই কম দামে ছেড়ে দেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।