পঞ্চগড় থেকে ফিরে: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। এ ব্যক্তি বিষয়টি মজা করে লিখলেও কিছুদিন ধরে ফেসবুক, ইউটিউব, নিউজ পোর্টাল কিংবা পত্রিকার ওয়েবসাইট, সবখানে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবিই ঘুরে ফিরে আসছে।
ঢাকা থেকে প্রায় ৫শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কোনো রকম আবছাভাবে এই পর্বত দেখেই আবার ফেরেন অনেকে। আকাশ মেঘলা থাকলে কখনো তাও দেখা মেলে না। দর্শনার্থীদের অনেকেই হয়তো জানেন না শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের পথে-প্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান। সেই রুপ দেখেও মুগ্ধ হতে পারেন তারা।
চোখজুড়ানো সবুজের চা-বাগান। মাঝখানে বয়ে গেছে সুদৃশ্য এশিয়ান হাইওয়ে। সমতলের এ চা বাগান যেন দুই দেশকে এক করে দিয়েছে। ভারতের শিলিগুড়ি ও বাংলাদেশের পঞ্চগড় দেখতে যেন এক, মাঝখানে শুধু কাঁটাতার। এই যে এমন মোহনীয় রুপ-কম কিসের! শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘার জন্য কেন ছুটতে হবে?
![](http://bnpub.banglanews24.com/public/userfiles/images/29-09-2022-Aysha/2-10-2022-AAT/3-10-2022-AAT/5-10-2022-AYT/5-10-2022-AAT-2/5-10-2022-3-AAT/05-10-2022-4-aat/13-10-2022-AAT/19-10-2022-AAT/20-10-2022-aat/24-10-2022-AAT/25-10-2022-AAT/27-10-2022-AAT/01-11-2022-AAT/3-11-2022-AAT/panchogarh.jpg)
করতোয়া, তালমা, চাওয়াই, পাঙ্গা, কুরুম, পাম, পাথরাজ, ঘোড়ামারা, মরা তিস্তা, আত্রাই, ভূল্লী, নাগর, সিংগিয়া, বহু, রসেয়া, মহানন্দা, ডাহুক, তিরনই, রনচন্ডী, বেরং, জ়োড়াপানি ও সাও নদী তীরের এই জনপদের রয়েছে আরও অনেক রুপ। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা। হিমালয়ের এই কন্যার আরও অনেক রুপ আছে তা হয়তো আমাদের অদেখাই রয়ে গেছে। সেসব অপ্রচলিত রুপের কথা লিখবো আজ।
বাড়ির আঙ্গিনায়ও চা বাগান:
সাধারণত আমাদের দেশের মানুষ চা বাগান দেখতে সিলেট-মৌলভীবাজার ছোটেন। সেখানকার পাহাড়ি চা বাগানের চেয়ে পঞ্চগড়ের সমতলের চা বাগান দেখতে কোন অংশেই কম নয়। বরং এখানকার চা বাগানের রয়েছে ভিন্ন রুপ। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে ফসলের জমি সব খানেই দেখা মিলবে চা-গাছের বাগান। একরের পর একর চা বাগান মাঝখানে দুই দেশের সীমানা। বাগানের মাঝখানে সীমান্ত চকিতে বসে পাহারা দিচ্ছেন দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীরা। খুব সকালে এখানে পাড়া মহল্লায় যায় চাপাতাবাহী গাড়ি, তুলে আনা হয় কারখানায়। চায়ের এ এক অন্য জনপদ।
সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের পর সর্ব-উত্তরের পাঁচ জেলা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ‘পঞ্চগড় ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সমতল ভূমি চা চাষের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। পঞ্চপড় জেলার বিভিন্ন স্থানে চায়ের বাগান থাকলেও জেলা শহর থেকে বাংলাবান্ধা স্থল বন্ধরে য়াওয়ার সময় চা বাগানগুলো দৃষ্টি কেড়ে নেয়। যাওয়া কিংবা আসার পথে ইচ্ছে করলেই এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
নদী ও জীবন:
হিমালয়ের পাদদেশের এই জনপদের যে কয়টি নদী চোখে পড়েছে মুগ্ধ হয়ে দেখেছি। নদী ও নদীকেন্দ্রিক পাথর জীবিকা নজর কাড়বে সবার। হিম শীতল পানিতে কোমর সমান ডুবে এখানকার মানুষ পাথর তোলেন। নদীর স্বচ্ছ পানিগুলোতে নীলের আবহ। যেন আকাশের রংয়ের সাথে মিশে যায় নদীর পানির রংও। পঞ্চগড় শহর থেকে কিছু অতিক্রম করার পরেই পড়বে করোতোয়া ব্রিজ। সেই ব্রিজের ওপর থেকে নদীর দারুণ দৃশ্য দেখা মেলে। নদীর মাঝে মানুষের পাথর আহরণ, ইঞ্জিন নৌকায় নদী পারাপার সবই নজর কাড়ে। ব্রিজ পেরিয়ে তুলার ডাঙ্গার করোতায়ার বেড়িবাঁধ দিয়ে চলতে দারুণ লেগেছে। যেতে যেতে মুগ্ধ হয়ে দেখেছি এখানকার জীবন ও জীব-বৈচিত্র্য কত সুন্দর। বাঙালি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সবাই মিলে মিশেই বসবাস করছে। তুলার ডাঙ্গার এ পথ ধরে আরও মাইল খানেক গেলে নদীর পাড়েই রয়েছে বসার জায়গা। বিকেলের সময়টা এখানে দারুণ কাটে। চারপাশের রুপ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
![](http://bnpub.banglanews24.com/public/userfiles/images/29-09-2022-Aysha/2-10-2022-AAT/3-10-2022-AAT/5-10-2022-AYT/5-10-2022-AAT-2/5-10-2022-3-AAT/05-10-2022-4-aat/13-10-2022-AAT/19-10-2022-AAT/20-10-2022-aat/24-10-2022-AAT/25-10-2022-AAT/27-10-2022-AAT/01-11-2022-AAT/3-11-2022-AAT/05-11-2022-AAT/panchogarh-03.jpg)
তেতুঁলিয়া ডাকবাংলো এলাকায় মহানন্দার রুপ আরও মোহনীয়। দূর থেকে দার্জিলিংয়ের পাহাড়, মহানন্দার কলকল ধ্বনি। নদীর মধ্যে মানুষের পাথর আহরণ। নীল জলরাশি। মাঝখানে বালুচর এবং নদীর অপর প্রান্তে ভিন্ন দেশের ভিন্ন জনপদ। নদী তীরে বিস্তীর্ণ চায়ের বাগান- সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছিলো আমাদের। যেদিন আমরা গিয়েছিলাম সেদিন স্বচোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার সুযোগ না হলেও মহানন্দার চারপাশের রুপ আমাদের মোহিত করেছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা না দেখে আমরা একটুও নিরাশ হয়নি। এছাড়াও তালমা, চাওয়াই, পাঙ্গা, কুরুম, পাম, পাথরাজ, ঘোড়ামারা, মরা তিস্তা, আতরাই, ভূল্লী, নাগর, সিংগিয়া, বহু, রসেয়া, মহানন্দা, ডাহুক, তিরনই, রনচন্ডি, বেরং, জ়োড়াপানি ও সাও নদীর রুপও আমাদের টেনেছে।
যেতে যেতে পথে:
এই জনপদকে ভালো লাগার আরেকটি কারণ হলো এখানকার রাস্তা। একদম পরিপাটি আর পরিষ্কার। যানজট চোখেই পড়বে না। শহর থেকে গ্রাম শব্দ দূষণও খুব একটা নেই। চলার পথে ভিন্ন রকম আরাম মেলে এই জনপদে। যেখানে-সেখানে কোন পলিথিন কিংবা আবর্জনা পড়ে নেই। রাস্তার পাশেও কোন ময়লার ভাগাড় চোখে পড়েনি। বিশেষ করে পঞ্চগড় শহর থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এশিয়ান হাইওয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখার মত। রাস্তাও এত সুন্দর হয়!
![](http://bnpub.banglanews24.com/public/userfiles/images/29-09-2022-Aysha/2-10-2022-AAT/3-10-2022-AAT/5-10-2022-AYT/5-10-2022-AAT-2/5-10-2022-3-AAT/05-10-2022-4-aat/13-10-2022-AAT/19-10-2022-AAT/20-10-2022-aat/24-10-2022-AAT/25-10-2022-AAT/27-10-2022-AAT/01-11-2022-AAT/3-11-2022-AAT/05-11-2022-AAT/panchogarh-04.jpg)
রাস্তার পাশের সমতলের চা বাগান। অদূরেই ভারতের শিলিগুড়ি এসব আমাদের নজর এড়াতে পারেনি। মাঝ পথে রবীন্দ্রনাথ, লালন আর নজরুলের ভাষ্কর্য দেখে আমাদেরকেও থমকে দাঁড়াতে হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চগড় শহর থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথের রাস্তাটিও দারুণ পরিপাটি। জেলার শহরের অদূরে রেলস্টেশনের মূল ফটকটি দেখলেতো চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। এদেশের সর্ব উত্তরের জনপদের রেলস্টেশনটির মূল ফটক এতটা আকর্ষণীয়!
যেতে যেতে এ পথের শেষ হয় বাংলাবান্দা স্থলবন্দরের জিরোপয়েন্টে। একপাশে বিজিবি অন্যপাশে বিএসএফ। মাঝখানের সড়কটিতে দুই দেশের নাগরিকই আসছেন সীমান্তবর্তী ই জিরোপয়েন্ট দেখতে। কিন্তু কেউই সীমানা অতিক্রম করছেন না। ঘুরেফিরে দেখছেন দুটি ভিন্ন দেশের জীবনাচার। পর্যটকদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যদেশটির নাগরিকদের সাথে কথা বলে মনের কৌতূহল নিবারণের চেষ্টা করছেন। সর্বোপরি জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যেন কেউই ভুল করছেন না। উল্লেখ্য এটি বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর যার মাধ্যমে তিনটি দেশের সাথে যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়েছে।
হিমালয় পার্ক:
আমাদের ধারণা ছিল নদী চা বাগান আর গ্রামীণ জনপদ ছাড়া এই জনপদে চিত্ত-বিনোদনের হয়তো তেমন কিছু নেই। আমাদের সেই ধারণার মূলে কুঠারাগাত করে হিমালয় পার্ক। এতটা সুন্দর সাজানো গোছানো পার্ক ২য় টি চোখে পড়েনি আগে। পার্কের প্রবেশমুখেই সুদৃশ্য পাম গাছ ঘেরা প্রবেশ পথ ভিন্ন রকম আবহ যোগ করেছিলো। মনে হচ্ছিলো কোন শ্যূটিং স্পটে এসে পড়েছি।
ভেতরে ঢুকে চোখতো ছানাবড়া। বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, নাগরদোলা, হরিণ, ঘোড়া, বিড়াল, খরঘোশ, জিরাপ, হাতি, কুমির, কচ্ছপ- কি নেই সব পশু পাখির প্রতিকৃতি আছে এখানে। নানা জাতের গাছ ও সবুজ ঘাস, খোলা মাঠ। পার্কের পাশেই বয়ে গেছে নদী। শুধু বিকেল নয় পুরো পরিবার নিয়ে পুরোটা দিন এখানে কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে।
পার্কটি পঞ্চগড় টুনিরহাট সড়কের তালমা বাজারের পাশে রাবার ড্যামের পাশে অবস্থিত। এটি পঞ্চগড়র একমাত্র বিনোদনপার্ক হিসেবে পরিচিত। এর প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। পঞ্চগড় থেকে এর দূরত্ব ৩ কিলোমিটার। অটোভ্যানে যেতে লাগবে ১০ টাকা। রিকশায় ১৫/২০ টাকার মধ্যে।
প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ জনপদ:
পঞ্চগড়কে বলা হয়, ৫ গড়ের জনপদ। এ প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ঐতিহ্য ও লোকগাঁথা। আছে প্রত্নতত্ত্বের নানা নিদর্শন। ভিতরগড়, মিরগড়, দেবনগড়, হোসেনগড়, নিমগড়- এই ৫ গড়ের জনপদে রয়েছে এখানে। দেশের একমাত্র পাথর জাদুঘর, প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মীর্জা শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়ার মাজার, বোদেশ্বরী মন্দির, মহারাজার দিঘীর মত বিনোদনপার্ক।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ পঞ্চগড়। এ জেলায় নীলফামারী, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলা। এই প্রাচীন জনপদে রয়েছে আরও অনেক দর্শনীয় নিদর্শন। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি জনপদ পঞ্চগড়। খালি চোখে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ দেখা অসাধারণ হলেও পঞ্চগড়ের বাকি সৌন্দর্যগুও মোহনীয়। এসব দেখে না ফিরলে এত বিশাল পথ মাড়িয়ে যাওয়া সার্থক হয় না যেন।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় কিংবা তেঁতুলিয়া অথবা বাংলাবান্ধায় সরাসরি দূরপাল্লার কোচ (দিবারাত্রি) যাতায়াত করে। ঢাকা থেকে হানিফ, শ্যামলী এন্টারপ্রাইজ, কেবি এন্টারপ্রাইজ, এবি এন্টারপ্রাইজ, বিআরটিসিসহ বেশ কয়েকটি কোচ সার্ভিসের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রাপথে সময় ব্যয় হবে ৮ থেকে সাড়ে ১০ ঘণ্টা। খরচ পড়বে জনপ্রতি ৯০০-১১০০ টাকা। ট্রেনেও সরাসরি যাওয়া যাবে। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামের ৩টি ট্রেন দিনের বিভিন্ন সময় ছেড়ে যায় এবং আসে। খরচ পড়বে ৬ থেকে ৮শ টাকা।
থাকা ও খাওয়া:
রাত যাপনের জন্য আছে সরকারি দুটি রেস্ট হাউস। একটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সরকারি ডাকবাংলো ও অপরটি জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। ডাকবাংলোগুলোতে অবস্থান করতে হলে আপনাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিস ও জেলা পরিষদ অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করে বুকিং নিতে হবে। তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকেই দেখতে পারবেন অপরূপ দৃশ্য-দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, হিমালয় এভারেস্ট কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘার। পঞ্চগড় জেলা শহরে অনেক হোটেল পাবেন থাকার জন্য।
তেঁতুলিয়ায় মহানন্দা নদী তীরের ডাকবাংলোতে থাকার জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কেয়ারটেকার ০১৭৫১০২৬২২৫। বন বিভাগের রেস্টহাউসে থাকার জন্য জেলা সদর অথবা তেঁতুলিয়ায় বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো আছে, এখানে থাকার অনুমতি নিতে হবে পঞ্চগড় থেকে। এখানে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৪-৬২৪২০৬। এসব বাংলোতে খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। চাহিদা মাফিক বললে হবে।
পঞ্চগড়ে থাকার জন্য কিছু হোটেল আছে। জেলা শহরে হাঁটলেই তা চোখে পড়বে। হোটেলে দিন প্রতি ভাড়া ৫০০-১৫০০ এর মধ্যে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এসএইচডি/এএটি