ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

কুয়াকাটায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে মাছ ও কাঁকড়া ফ্রাই

মো. জহিরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
কুয়াকাটায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে মাছ ও কাঁকড়া ফ্রাই কুয়াকাটায় কাঁকড়া ফ্রাইয়ের চাহিদা অনেক, ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় প্রথমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছের বারবিকিউ ও ফ্রাই।  

এখানে বঙ্গোপসাগরের গভীরের মাছ লইট্যা, টুনা, ইলিশ, কোরালের পাশাপাশি কাঁকড়ার চাহিদাও তুঙ্গে।

এছাড়া মুরগি ফ্রাই ও বারবিকিউতো আছেই। এসবের সঙ্গে পরোটার স্বাদ যেন অমৃত!

সাগরপাড়ের প্রায় অর্ধশত দোকানে কাঁকড়া, মুরগি ও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছের সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকরা এসে সাধ্য অনুযায়ী পছন্দ মতো অর্ডার করলেই পাশের চুলায় ফ্রাই বা বারবিকিউ করে দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে নান রুটি, রুটি বা পরোটা।

ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা জানান, আকার ভেদে একপিস কাঁকড়া বিক্রি হয় ৪০ থেকে ১০০ টাকায়। টুনার পিস আকার ভেদে ২৫০ থেকে হাজার পর্যন্ত। আর ইলিশ ও কোরাল বিক্রি হয় কেজি হিসেবে। আকার ভেদে ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে হাজার টাকায়। আর আকার ভেদে এক কেজি কোরালের জন্য গুণতে হয় ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।  
 
সাগর পাড়ের মাছ ব্যবসায়ী কাওসার জানান, প্রায় সব শ্রেণি-পেশার পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় ফিস ও কাঁকড়া ফ্রাই থাকেই। তাই সবার কথা মাথায় রেখেই চাহিদা মতো ছোট-বড় সব ধরনের মাছ রয়েছে তাদের কাছে। সব শ্রেণির পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ফিস ফ্রাই খাওয়ার চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেন তারা।

পর্যটক মো. হাসিবুর রহমান জানান, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তিনি। তাদের প্রথমে কাঁকড়া এবং পরে টুনা ফিস ও রুটি দিয়ে রাতের খাবার সেরেছেন।  

এছাড়া পান ও কোমল পানীয় ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, যারা ফিস বা কাঁকড়া ফ্রাই খান, তারা আবার পানি, কোমল পানীয় ও সস কেনেন। এসব বিক্রি করে তার দৈনিক প্রায় পাঁচশ’ থেকে হাজার টাকা আয় হয়।

সন্ধ্যার পরপরই জমে ওঠে কাঁকড়া ও ফিস ফ্রাইয়ের দোকানগুলো। শিশু, নারী পুরুষসহ সব বয়সী পর্যটকদের সমাগমে মুখর থাকে এ এলাকা।

সবার জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের আস্থা অর্জন করতে পারলে, এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২০
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।