ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

পর্যটন

‘২০২১ সালে বাংলাদেশ পর্যটনশিল্পের নতুন যুগে প্রবেশ করবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
‘২০২১ সালে বাংলাদেশ পর্যটনশিল্পের নতুন যুগে প্রবেশ করবে’

ঢাকা: মহাপরিকল্পনায় দেশের পর্যটনশিল্পের চিত্র বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ এ শিল্পের নতুন যুগে প্রবেশ করবে। এখাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনার সূচনা হবে। বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হবে। 

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে সবক্ষেত্রে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এই উন্নয়নের ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে উদ্যমী হতে হবে।

মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। মহাপরিকল্পনাটির অংশীদার পুরো জাতি। সরকারি-বেসরকারি সব স্টেকহোল্ডারকে এ কাজে আন্তরিকভাবে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি। আশা করি সবার সম্মিলিত প্রয়াসে একটি সমৃদ্ধ এবং প্রয়োগযোগ্য ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।   

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটনে উন্নত দেশগুলোর সমকক্ষ হতে হলে আমাদের সুচিন্তিতভাবে কাজ করতে হবে। পর্যটকদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটক বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণ নির্ণয় করা জরুরি। আমাদের ট্যুরিজম মাস্টার প্ল্যানে সেই নির্দেশনা থাকবে, একই সঙ্গে এ থেকে উত্তোরণের পথও চিহ্নিত করা হবে।

পর্যটন মহাপরিকল্পনা তিনটি পর্যায়ে তৈরি করা হবে জানিয়ে মাহবুব আলী বলেন, প্রথম পর্যায়ে বিশ্লেষণ করা হবে দেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা, এর শক্তি কতটুকু, দুর্বলতা কোথায়, সম্ভাবনা কেমন, কোনো ধরনের সংকট রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান মাত্র ২ শতাংশ। আসছে বছরগুলোতে একে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা থেকে। পর্যটন মহাপরিকল্পনার কাজ অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে, যাতে সবাই তা জানতে পারে।  

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পর্যটন মহাপরিকল্পনার উপর আরো বক্তব্য রাখেন পরামর্শক দলের প্রধান বেঞ্জামিন কেরি ও ডেপুটি টিম লিডার অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১০
টিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।