ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

পর্যটকদের প্রথম পছন্দ শ্রীমঙ্গলের মণিপুরী হস্তশিল্প

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
পর্যটকদের প্রথম পছন্দ শ্রীমঙ্গলের মণিপুরী হস্তশিল্প ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী তাঁতশিল্প, ছবি: বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন

মৌলভীবাজার: সুতোর বুননে যে মমতার পরম বন্ধন রয়েছে, সেটি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষত মণিপুরী হস্তশিল্পে। আবার সেই বুননেই কাপড়ের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বাড়ায়। যা বহুদিন অত্যন্ত আরাম-আয়েশের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।

কোমর তাঁত থেকে শুরু করে মেশিন অবধি সর্বত্রই চলে বুননের চমৎকার খেলা। নানা রঙের সুতোয় বিভিন্ন ধরনের নকশায় মণিপুরী তাঁতশিল্পগুলো অপূর্ব সুন্দর হয়ে উঠে।

একেকটি পণ্য যেন বিষয় বৈচিত্র্যে তার আভিজাত্যের জানান দেয়।

মণিপুরীদের তাঁতশিল্পজাত নানা পণ্যগুলো আভিজাত্যপূর্ণ, বৈচিত্র্যময় এবং টেকসই। গুণে এবং মানে অতুলনীয়। পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের অন্যতম ঐতিহ্য এ মণিপুরী তাঁতশিল্প।

সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর মণিপুরী পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, আগত পর্যটকদের ভিড়। শুধু জাতীয় দিবসগুলো নয়, সরকারি বন্ধের দিনসহ প্রায় প্রতিটি দিনেই পর্যটনদের পদভারে মুখরিত থাকে এ তাঁতশিল্পের এ জনপদটি।

‘অলক মণিপুরী হ্যান্ডিক্রাফটস’ নাম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, এ বিপণন কেন্দ্রেটিতে পর্যকটদের ‍উপচেপড়া ভিড়। একজন পুরুষ এবং একজন নারী দোকানটিতে সেলসম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। আগত ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের মণিপুরী কাপড় দেখাচ্ছে এবং আশানুরূপ দাম পাওয়ার জন্য দর কষাকষি করছেন।

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে আসা সুমনা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবারই প্রথম শ্রীমঙ্গল এসেছি। সবাই বলাবলি করছিলো যে, এখানকার স্থানীয় মানুষের হাত বানানো পণ্যগুলো খুব সুন্দর। তাই দেখতে এলাম। তবে, একেক দোকানে পণ্যের একেক রকম দাম। এখান থেকে উন্নতমানে জিনিস বাছাই করা কঠিন। ’

অলক মণিপুরী হ্যান্ডিক্রাফটসের পরিচালক অরুন সিংহ বলেন, আমাদের এখানের মণিপুরী হস্তশিল্পের চাহিদা প্রচুর। প্রায় সময় পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে এখানে পছন্দের পণ্য কিনতে আসেন।  

পণ্যের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, শাড়ি ৪’শ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা, বিছানার চাদর ৫’শ থেকে ১৫’শ টাকা, গায়ের চাদর (নারী) ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, গায়ের চাদর (পুরুষ) ৩৫০ থেকে ৭’শ টাকা, গামছা ১’শ থেকে ৩শ’ টাকা, মেয়েদের হাতব্যাগ ৭০ থেকে ৪’শ টাকা, থ্রি-পিস ৩৫০ থেকে ১৩’শ টাকা, ছেলেদের ফতুয়া ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪’শ থেকে ৬’শ টাকা, কটি ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাঁথা ১৩৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক অনিতা দেবী বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে দোকান চালাই। প্রায় দিনই নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। সাশ্রয়মূল্যে আমরা ক্রেতাদের মানসম্পন্ন পণ্য দেওয়ার চেষ্টা করি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
বিবিবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।