ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যটন

কেউ চাঁদা চাইলে আমাকে ফোন দেবেন

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৮
কেউ চাঁদা চাইলে আমাকে ফোন দেবেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহর কার্যালয়ে বাংলানিউজ

রাজশাহী থেকে: রাজশাহীর আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সকল ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে পুলিশ। আম পরিবহনের সময় প্রশাসনের কেউ যদি চাঁদা দাবি করে তবে সরাসরি আমাকে ফোনে জানাতে বলেছি। মিটিংয়ে থাকাকালীন সময়ে ফোন ধরতে না পারলে আমি পরে কলব্যাক করি।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

এ সময় তিনি বলেন, আমার মোবাইল সব সময় অন থাকে।

ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মিটিং করে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি। কোনো প্রয়োজনে আমাকে ফোন দিলেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আমের রাজধানী রাজশাহীর মেইন তিনটি এলাকা হচ্ছে বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া। পুঠিয়া আমের বাজার। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে আম কেনেন। এখানে আমাদের একটা নিরাপত্তার বিষয় আছে। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘ্নে আম বেচাকেনা করতে পারেন, তাদের মালামাল নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, এ বিযয়গুলোতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমের সময় রাস্তাটা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, আমরা এতে সচেতন থাকি। যাতে চুরি না হয়, ডাকাতি না ঘটে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকে, ট্রাফিকটা সুন্দর থাকে- আমরা সে বিষয় লক্ষ্য রাখি। এটা শুধু এখানে না, সকল মেইন রোডের ক্ষেত্রেও। পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।  ছবি: বাংলানিউজআমে ফরমালিন বা কার্বনেট আছে কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, দুই-তিন বছর আগে আমে ফরমালিন মেশানো হতো। এখন মানুষ অনেক সচেতন। গ্রাম-গঞ্জে মানুষ এ রকমের কাজ করলে যেকেউ ফেসবুকে দিয়ে দেয়। সাধারণ মানুষের সচেতনাতার জন্য সবাই এটা করতে পারে না। আমাদের ফেসবুকের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা আছে। রাজশাহী জেলার কেউ যদি ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় উসকানিমূলক অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোন পোস্ট দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই।

পুলিশ সুপার বলেন, গত দুই-তিন দিন আগে বাঘা থেকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে একজন ফোনে বললেন আমি আগামীকাল আম ভাঙবো। একজন আমার কাছে চাঁদা চাচ্ছেন । আমরা তৎক্ষণিক এর ব্যবস্থা নিই এবং সকাল হওয়ার আগেই চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে মামলা দিই।

মাদক নির্মূলে রাজশাহী পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্য জেলার মতো হয়তো আমি দুই-একটা ক্রসফায়ার দিতে পারি নাই। তবে মাদক নির্মূলে গটফাদারদের বিতাড়িত করতে পেরেছি। মাদক বিকিকিনি বন্ধ করায় অনেক মাদকসেবী অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আমের নগরীতে পুলিশ সুপার থাকার কারণে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব অনেকে টাটকা আম খাওয়ার আবদার করছে বলে জানান তিনি।

চলতি বছরের ১ মার্চ যোগদান করে তিন মাসে কতটুকু সফলতা অর্জন করেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার লক্ষ্যের ২০ ভাগ অর্জন করতে পেরেছি।

কেমন রাজশাহী রেখে যেতে চান জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, একটি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত রাজশাহীই আমার স্বপ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮
এমআরএম/টিএ...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।