ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

পঁচা মাছে নষ্ট হচ্ছে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৬
পঁচা মাছে নষ্ট হচ্ছে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য ছবি : দেলোয়ার হোসেন বাদল - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সেন্টমার্টিন থেকে: দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। সেন্টমার্টিনে বিচের বিভিন্ন পয়েন্টে পঁচা মাছ, কাকড়া ও আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাও সৌন্দর্য নষ্টের অন্যতম কারণ।

 

প্রবাল দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় যেতেই দেখা গেলো  বেশ কয়েকটি টুনা মাছ মরে আছে। সমুদ্রের ঢেউ মাছগুলোকে বিচের আরো কাছে নিয়ে ফেলছে। এর পাশ দিয়ে যেতেই নাকে উ‍ৎকট গন্ধ আসে। কাছে গিয়ে দেখা যায় মাছগুলো মরে ফুলে গেছে।

 

তবে ঠিক কি কারণে মাছ মরছে তা অনুসন্ধান করা যায়নি। অনেকের ধারণা মাছগুলো হয়তো জালে জড়িয়েই মারা পড়ে।
 
গলাচিপার বাসিন্দা মোবারক বাংলানিউজকে জানান, এভাবে প্রায় প্রতিদিনই মরা মাছ বিচের ওপর দেখা যায়। পশুপাখি অনেক সময় এগুলো খেয়ে ফেলে, আবার অনেক সময় পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

মাছগুলো মারা যাচ্ছে কেনো জানতে চাইলে বলেন, জালে পড়ে অনেক সময় মাছ মারা যায়। এছাড়া আসলে কি কারণে মাছগুলো মারা যাচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।

এরপর বিচ দিয়ে কিছুদূর হাঁটতেই দেখা যায় বিস্কুটের প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট নারকেল ও বাদামের খোসাসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা।

এসব আবর্জনা পরিস্কার বা বিচ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সরকারিভাবে এখানে এসবের কেউ দেখভাল করে না।

এভাবে অবস্থাপনার কারণে বিচের পরিবেশ দিন-দিন নষ্ট হচ্ছে বলে একজন দেশীয় পর্যটক বাংলানিউজের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ঢাকার মিরপুর থেকে মেয়ে, মেয়ের জামাই ও বোন রোকসানাকে নিয়ে প্রবাল দ্বীপে ঘুরতে এসেছেন নিলুফার ইসলাম (৪৮)। তিনি জানান, আমি আগেও কয়েকবার এই প্রবাল দ্বীপে ঘুরতে আসছি, কিন্তু এভাবে পঁচা মাছ ভাসতে দেখিনি। এবার এসে দেখলাম মাছ পঁচা, নারকেলের খোসাসহ বিভিন্ন আবর্জনা।

এগুলো পরিস্কার রাখা দরকার। না হলে এই বিচে ধীরে ধীরে অনেকই আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।



বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এসএম/এসআর

**
সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাবে!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।