ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

স্বপ্নের দেশ থাইল্যান্ডে

ফারিহা কবির | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
স্বপ্নের দেশ থাইল্যান্ডে

স্বপ্নের দেশ থাইল্যান্ড। আমার ছোটবোনের বহুদিনের শখ সাজানো-গোছানো পরিপাটি এ দেশটি ঘুরে দেখার।

কিন্তু সময়ের অভাবে তাকে নিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু এবার তাকে সেখানে নিয়ে যাবো বলে অফিস থেকে পাঁচদিনের ছুটি নিলাম। বিমানে চেপে উড়ে গেলাম স্বপ্নের দেশ থাইল্যান্ডে।
 
এয়ারপোর্ট থেকে গেলাম সাইতাই বাসস্ট্যান্ডে। প্লেনের খরচ আমার জন্য একটু বেশিই ছিল বৈকি! তাই বাসে ওঠার সিদ্ধান্ত নিলাম। ফুকেটের বাসে উঠে পড়লাম আমি আর আমার বোন। মাথাপিছু ৬শ’ ৮০ টাকা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাস ছাড়লো। ভিআইপি দোতলা বাস। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হাইফাই বাসে রয়েছে টেলিভিশন আর রাতের খাবারের সুব্যবস্থাও। বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মিনারেল ওয়াটার আর কেক দেয়া হলো আমাদের।



রাত তখন ২টা বাজে। একটা রেস্তোরাঁর সামনে বাস থামলো। আমি তাদের জানালাম যে আমরা মুসলিম ধর্মালম্বী। তখন তারা আমাদের মুসলিম কর্নার দেখিয়ে দিলো। ডিনার শেষ করে আবারও উঠে পড়লাম বাসে। সকাল সাড়ে আটটায় পৌঁছালাম ফুকেট বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা হোটেল।



কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর ঠিক করলাম শহর দেখতে বের হবো। রিসিপশনে গিয়ে জানাতেই হোটেলের মালিক বললেন তিনি নিজেই তার গাড়ি করে আমাদের শহর দেখাবেন। তবে এর জন্য তাকে ১৫শ’ টাকা দিতে হবে। আমরা রাজি হলাম।

বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় tripadvisor.com ওয়েবসাইট দেখে বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখার জন্য পছন্দ করে রেখেছিলাম। সেভাবেই বের হলাম। প্রথমে ফুকেট অ্যাকুয়ারিয়াম দেখতে গেলাম। সেখানে যে কত প্রজাতির জলজ প্রাণী রয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়! সেখানে একটি থ্রিডি মুভিও দেখলাম। মুভিটি খুব শিক্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য।



এরপর বের হলাম ট্রিকাই জাদুঘর দেখতে। সেখানকার থ্রিডি আর্টগুলো আপনার কাজে মনে হবে বাস্তব। আমরা খুব উপভোগ করলাম সেখানকার সবকিছু। এরপর গাড়ি করে কাটা বিচ ঘুরে এলাম। ফিরে আসার পথে পরদিনের জন্য আইল্যান্ড হপ্পিংয়ের টিকেট কেটে নিলাম। মায়া বে, কাই, ফাই ফাই দ্বীপের টিকেট কেটে বের হওয়ার সময় বাংলা রোড থেকে আসা কিছু শব্দ শুনতে পেলাম। সেদিন আর ওখানে যাওয়া হলো না। কারণ পরদিনই আমাদের আইল্যান্ড হপিংয়ের জন্য যেতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি হোটেলে ফিরে শুয়ে পড়লাম।

একটা কথা বলতেই হচ্ছে, থাইল্যান্ড জায়গাটা মেয়েদের জন্য খুব নিরাপদ। আমি আর আমার বোন সেখানে খুব নিরাপদে ছিলাম। ওরা পর্যটকদের এত সম্মান ও সেবা করে যে, না দেখলে আসলে বোঝা মুশকিল।



যাই হোক, মূল গল্পে ফিরে আসি। পরদিন খুব ভোরে উঠে আমরা তৈরি হয়ে হোটেলের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ঠিক সাড়ে ৭টায় একটি টুরিস্টসহ ভ্যান এলো আমাদের নিতে। এরপর আমাদের সোজা নিয়ে যাওয়া হলো জে.টি-তে। যেখানে ক্রুস অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। একে একে সবার হাতে সিল দেয়া হলো। তারপর এক এক করে সবাই উঠলাম ক্রুসে।


ক্রুসে উঠতেই ব্রেকফাস্ট হিসেবে চা, কফি, কমলা-আপেলের জুস ও বিস্কুট দেওয়া হলো। পাশাপাশি আমি আর আমার বোন মামা নুডুলস কিনে খেলাম। এই নুডুলস তো আমার দেশেই পাওয়া যায়। তবে থাইল্যান্ডের ঢেউ খেলানো সাগরের মাঝে বসে মামা নুডুলসের স্বাদটা আলাদাই মনে হলো।

সমুদ্রের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপগুলো আমাদের অবিরত মুগ্ধ করছিল। টানা একঘণ্টা পর আমরা পৌঁছালাম আমাদের প্রথম গন্তব্য কাই দ্বীপে। এরপর থাকছে হপ্পিং দ্বীপের গল্প।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।