ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

চোখ যখন গুগল আর্থ!

বাংলানিউজ ট্রাভেল টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৪
চোখ যখন গুগল আর্থ! ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রিজেন্টের উড়োজাহাজে চড়ে কক্সবাজার ঘুরে এসে: পুরো পৃথিবীর ছবি ৩ডি আকারে দেখার জন্য রয়েছে ‘গুগল আর্থ’ সফটওয়্যার। কিন্তু যদি বলা হয়, ৩ডি আকারে নয়, সরাসরি পুরো পৃথিবীকেই দেখার জন্য রয়েছে আরেক পদ্ধতি! কৌতূহল জাগতে পারে, কী সে পদ্ধতি!

যিনি কোনোদিন উড়োজাহাজে চড়েছেন তার পক্ষে এই কৌতূহলের উত্তরটি জানা।

আর যিনি আকাশে ওড়েন নি কখনো, তার জন্য উত্তর হলো ‘উড়োজাহাজ’।

হ্যাঁ, উড়োজাহাজ উড়তে পারলে গোটা পৃথিবীর ছবিই স্বচক্ষে দেখতে পাবেন আপনি, এক্ষেত্রে ‘চোখ’ কাজ করবে ‘গুগল আর্থ’ সফটওয়্যারের মতো!

চোখের জুম করার ক্ষমতা সত্যি অসাধারণ। হয়তো চোখের জুম করার ক্ষমতা থেকেই ক্যামেরা ভিডিও অথবা গুগল আর্থের জুমের সৃষ্টি। চোখ যে কত বড় জুমের কাজ করে তা উড়োজাহাজের প্রতিটি মুহূর্তে উপলব্ধি করতে পারবেন। কারণ বড় থেকে ক্রমে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, গাছ-গাছালি, নদী-সাগর সব ছোট হতে থাকবে, আবার ছোট থেকেই ক্রমে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, গাছ-গাছালি, নদী-সাগর সব বড় হতে থাকবে।

কক্সবাজারের উদ্দেশে রিজেন্টের উড়োজাহাজে চেপে বসার পরই আকাশ থেকে জনপদকে দেখতে কেমন লাগে সে নিয়ে কৌতূহল বাড়তেই থাকলো। রানওয়েতে উড়োজাহাজ দৌড় শুরু করার পর থেকেই জানালা দিয়ে চোখ স্থির রাখছিলাম বাইরের দিকে। একসময় ‘দ্রুম’ করে একটি শব্দ হলো, আর উড়োজাহাজ উঠে গেলো কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে, এভাবে কয়েক দফায় আমরা উঠে গেলাম ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে।

প্রথম দফায় কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে ওঠার পর প্রাণের ঢাকার কিছু স্থাপনা বোঝা যাচ্ছিল, দ্বিতীয় দফায় আরও কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে ওঠার পর স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করতে কষ্ট হলেও বোঝা যাচ্ছিল।

এভাবে কয়েক দফায় উঁচুতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে দৃষ্টিতে অস্পষ্ট হতে শুরু করে বড় বড় ভবন, ফ্লাইওভার, স্টেডিয়াম, সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনা। সর্বশেষ দফায় মেঘেদের দেশ ছাড়িয়ে হাজার সতেরো ফুট উঁচুতে ওঠার পর ঢাকার আকাশে নাকি অন্য কোনো জেলার আকাশে আছি সেটা বোঝা গেল না।

শারদীয় মেঘবালিকা আর আলোদেবতার সঙ্গে খেলতে খেলতে মিনিট পঞ্চাশেক পর যখন কক্সবাজারের কাছে পৌঁছে গেলাম, তখন আবারও ‘গুগল আর্থে’র ভূমিকায় লাগিয়ে দিলাম ‘চোখ’কে।

১৭ হাজার ফুট উঁচু আকাশের বুক থেকে প্রথম দফায় যখন কয়েক হাজার ফুট নিচুতে নামলাম, তখন জনপদকে খানিকটা অনুমান করা গেল। আরেক দফায় কয়েক হাজার ফুট নামার পর আমরা যে কক্সবাজার সৈকতের পাশ ঘেঁষে উড়ছি সেটা বোঝা গেল। ধীরে ধীরে নামতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠলো কক্সবাজার শহর, বিমানবন্দর, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং অতিপরিচিত মানুষগুলো।

ঢাকার ‍আকাশে নিচু থেকে যখন উপরে উড়ছিলাম, যেন চোখ গুগল আর্থের ‘জুম আউট’র কাজ করছিল, আবার যখন কক্সবাজারের ‍আকাশে উঁচু থেকে নিচুতে নামছিলাম, চোখ যেন গুগল আর্থের ‘জুম ইন’র কাজ করছিল।















গোটা পৃথিবী দেখতে যারা ‘গুগল আর্থ’-এ সন্তুষ্ট হতে পারেন না, তারা উড়োজাহাজে চড়েই পৃথিবী দেখার স্বাদ মেটাতে পারেন।

** রূপচাঁদার নামে টেকচাঁদা!
** আকাশ থেকে ভূমিতে (ভিডিও)
** যৌবনবতী নাফ, সুন্দরীতমা টেকনাফ
** সাগর পানে সাগর টানে
** প্রেমের অমর সাক্ষী মাথিনের কূপ
** খেতে ভুলবেন না আইনচি
** সোনাদিয়া, সম্ভাবনাময় সোনার দ্বীপ
** মিষ্টি পানের সবুজ দ্বীপ
** খাবারের সন্ধানে সাঁতারু গাভী!
** অটল পাহাড়ের বুকে উদ্দাম সাগর
** শারদ মেঘের দেশে, পাখির ডানায় ভেসে
** গরম গরম ফিশ ফ্রাই
** মহাপতঙ্গের পেটে একঘণ্টা!
** রিজেন্টে ফ্রি কক্সবাজার দর্শন


বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।