কাতার বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপ কতটুকু নিষ্ঠুর, এটা বোধ হয় সবচেয়ে ভালো জানা আর্জেন্টিনার। বহু বছরের আক্ষেপ দূর করার সুযোগ তারা পেয়েছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে।
২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়া নিশ্চিতের পর থেকেই সমালোচনার শুরু। টুর্নামেন্টের সময় যত ঘনিয়ে এসেছে, ততই যেন বাড়ছে
‘আনহেল দি মারিয়া যদি থাকতেন!’ এমন আফসোস আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মুখে শোনা যায় প্রায়ই। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা হয়নি তার।
কাতারে পৌঁছানোর দিনই অনুশীলন সূচি রাখে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। কিন্তু গতকাল সেই অনুশীলনে ছিলেন না দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে সবারই উদ্দেশ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু ৩২ দলের মধ্যে ভাগ্য খুলে কেবল এক দলেরই। স্পেনের লক্ষ্য সেই একমাত্র দলে
বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাতারে পা রেখেছে পর্তুগাল ফুটবল দল। তবে বাকিদের ছাপিয়ে নজরটা ছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ওপর। সম্প্রতি পিয়ার্স
নানা নাটকীয়তা ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে আগামীকাল পর্দা উঠছে কাতার বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নামবে
অভিষেকের পর থেকেই ব্রাজিলের প্রাণভোমরা নেইমার। তাই প্রত্যাশার চাপটা সবসময়ই একটু বেশি থাকে। এবার কাতার বিশ্বকাপেও ঠিক তাই। তবে
গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল হোসে গায়ার। টানা ১০ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। তাই তার পরিবর্তে
সাধারণত জুন-জুলাইয়ে বিশ্বকাপের আসর বসলেও ব্যতিক্রম হচ্ছে এবার। কারণ আয়োজক দেশ কাতারে জুন-জুলাইয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকায় তখন
বিশ্বজুড়ে এখন ফুটবল বিশ্বকাপের আমেজ। দিন দুয়েক পরই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো দেশ পৌঁছেও গেছে
স্টেডিয়ামে বিয়ার পান করতে করতে খেলা দেখা! ফুটবলটা এভাবেই উপভোগ করেন ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান সমর্থকরা। কিন্তু তাদের জন্য আবারও আসছে
ক্যালেন্ডারের পাতায় এমিলিয়ানো মার্তিনেস দাগ কেটে রেখেছেন হয়তো তারিখটা- ২২ নভেম্বর, ২০২২। বিশ্বকাপে সেদিন সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে পরিবর্তনের আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। আর সেটাই দিনশেষে সত্যিই হলো। ইনজুরিতে
আগের মতো সেই দাপট এখন আর নেই। হবেই বা কী করে! ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে দাঁড়িয়ে তো আর তারুণ্যের মতো ছুটে চলা যায় না। তবুও ক্রিস্তিয়ানো
