ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলানিউজ টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২১

ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

ড্যারেল মিচেল, ডেভন কনওয়ে ও জেমস নিশামের অন্যবদ্য ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড। আসরটির প্রথম সেমিফাইনালে ৫ উইকেটের জয় পান কেন উইলিয়ামসনরা।

অথচ এই বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ ওয়ানে দাপটের সঙ্গে খেলেই সেমিফাইনালে উঠেছিল ইয়ান মরগান বাহিনী। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলটি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল। অন্যদিকে গ্রুপ টু থেকে রানার্সআপ হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ড চমকই দেখাল।  

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা ইংল্যান্ড মঈন আলীর অপরাজিত হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিচেলের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ও ৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।

১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ডের। দলীয় ১৩ রানেই তারকা ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ফিরে যান। তাদের দুজনকেই বিদায় করেন ক্রিস ওকস।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ে। তারা দুজনে মিলে ৬৭ বলে ৮২ রান তোলেন। পরে এই জুটি ভাঙেন লিভংস্টোন। ৩৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ করা কনওয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। লিভিংস্টোনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস।

কিউইদের চতুর্থ উইকেট পতনের পর হারের শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি। তখন ১৫তম ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৭ রান। তবে নতুন ব্যাটার নিশাম এসে ঝড় তোলেন। তিনি মাত্র ১১ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ করে বিদায় নেন আদিল রশিদের বলে। তাকে নিয়ে ১৭ বলে ৪০ রানের অসাধারণ জুটিও গড়েন মিচেল।

ডানহাতি ব্যাটার মিচেল শেষ অবধি ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪৭ বলে ৪টি চার ও সমান ছক্কা হাঁকান। অপরপ্রান্তে এক রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্যান্টনার।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট পান ওকস ও লিভিংস্টোন। আদিল রশিদ এক উইকেট পান।  

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ধীর গতির করেছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.১ ওভারে ৩৭ রান তোলেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলার। পরে নিউজিল্যান্ডকে নিজের প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন অ্যাডাম মিলনে। বেয়ারস্টো শট মারতে গেলে কাভারে থাকা কেন উইলিয়ামস দারুণ এক ক্যাচে তাকে ফেরান। নামের পাশে ১৭ বলে মাত্র ১৩ রান যোগ করেন এই ডানহাতি।

বাটলারও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হাত খুলে মারতে গিয়েই তিনি কিউই স্পিনার ইশ সোধির শিকার হন। ২৪ বলে ২৯ রান করে এলবির শিকার হন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলীয় ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন ডেভিড মালান ও মঈন আলী। এই জুটিতে ৪৩ বলে ৬৩ রান আসে। অবশেষে মালান টিম সাউদির বলে উইকেটরক্ষক ডেভন কনওয়ের কাছে ক্যাচ দেন। এই বাঁহাতি ব্যাটার ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রান করেন।

মালান বিদায় নিলেও উইকেটে অবিচল থাকেন মঈন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ফের তিনি নতুন ব্যাটার লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে ২৪ বলে ৪০ রান যোগ করেন। লিভিংস্টোন ১০ বলে ১৭ করে জেমস নিশামের শিকার হন। তবে অপরাজিত দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন মঈন। বাঁহাতি এই ব্যাটার ৩৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রান করেন। অপরপ্রান্তে অধিনায়ক ইয়ান মরগান ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

নিউজিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট নেন সাউদি, মিলনে, সোধি ও নিশাম।

দারুণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন ড্যারেল মিচেল।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলানিউজ টি-২০ বিশ্বকাপ-২০২১ এর সর্বশেষ