বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এমন বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনায় মুখর সমর্থকরা। শুধু তারাই নয় সাবেক ক্রিকেটাররাও নানা কথা বলে যাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ যখন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে উড়ন্ত ফর্মে, ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে টোপ ফেললেন রাসেল ডোমিঙ্গো। সে সময়টায় তিনি বিসিবির কাছে দাবি করেন, অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন। তাই বিশ্বকাপে আগে হয় তার চুক্তি নবায়ন করতে হবে দুই বছরের জন্য; নয়তো তিনি নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন। বিশ্বকাপের আগে তার এমন দাবিতে চিন্তায় পড়ে যায় বিসিবি।
যে কারণে তখন বিশ্বকাপের আগেই বিসিবি ৫০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করে ডমিঙ্গোর সঙ্গে নতুন করে দুই বছরের চুক্তি করে ফেলে। চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা আছে, 'প্রথম এক বছরে বিসিবি ডমিঙ্গোকে বরখাস্ত করতে চাইলে কিংবা তিনি চাকরি ছাড়তে চাইলে সেই সময় থেকে এক বছর হওয়া পর্যন্ত যত মাস বাকি থাকবে, সেই মাসের বেতনের অঙ্ক বুঝিয়ে দিতে হবে। '
আর নতুন চুক্তি অনুযায়ী ডমিঙ্গোর মাসিক বেতন হবে প্রায় ১৭ হাজার ডলার। অর্থাৎ, এখন ডমিঙ্গোকে বাদ দেওয়া হলে বিসিবি ১ বছরের বেতন ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে বাধ্য থাকবে। যার পরিমাণ ২ লাখ ডলার। ডমিঙ্গো নিজে থেকে ছাড়তে চাইলেও একই পরিমাণ টাকা দিতে হবে। এসব দেখে বুঝা যায়, বিসিবি আসলে কেমন ফাঁদে পা দিয়েছে।
২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পরও স্টিভ রোডসকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যদিও রোডস বেশ ভালো কোচই ছিলেন। এরপর ডোমিঙ্গো এসে দলের অবস্থা খারাপই বানিয়ে ফেলেছেন। বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের আগেই বলতেন ভালো কিছু করে দেখাবে বাংলাদেশ। কিন্তু ফলাফল নিজের চোখেই দেখেছে দর্শকরা। ডোমিঙ্গোর অধীনে দলের এমন অবস্থা দেখে আগেই কোচের সমালোচনা করেছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিষয়গুলো বিবেচনা করে বুঝাই যাচ্ছে কেন তারা ডোমিঙ্গোর উপরে এত অসন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২১
আরইউ