পাঠকদের জন্য রোজার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা বর্ণনা করা হলো-
রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, টুথ পাউডার, মাজন বা কয়লা দিয়ে দাঁত মাজা মাকরুহ। রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে।
রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় যদি পানি গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (দুররে মুখতার : ১/১৫০)
কোনো কারণে রোজা ভেঙে গেলেও দিনের বেলায় পানাহার করা যাবে না। সারা দিন রোজাদারের মতো থাকা ওয়াজিব। (হিদায়া : ১/১৮৫)
কানে তেল বা ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। তবে গোসল করার সময় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কানে পানি প্রবেশ করে, তাহলে রোজা ভাঙবে না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৬)
পায়খানার রাস্তায় ডুশ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। এতে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৪)
ভুলক্রমে পানাহার করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (বুখারি : ১৯৩৩)
রোজা অবস্থায় চোখে সুরমা বা শরীরে তেল, আতর ইত্যাদি ব্যবহার সম্পূর্ণ জায়েজ। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। এমনকি যদি সুরমা ব্যবহারের পর থুথু কিংবা শ্লেষ্মায় রং পরিলক্ষিত হয়, তবু রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির : ৪/৩২৭)
রমজানবিষয়ক যেকোনো ধরনের লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এমএমইউ