পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে— পাকিস্তানিরা এটা মানতে নারাজ ছিল।
অযত্ন, অবহেলায় সরকারি মোমেন গালর্স স্কুলের আস্তকুঁড়ে পড়ে থাকা সেই একাত্তরের যুদ্ধস্মৃতির ভক্সেল ভিভার মাইক্রোবাসটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন।
পাকিস্তান থেকে মুজাহিদের ট্রেনিং নেয়া আবু সাঈদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ৩ নং সেক্টরে আখাউড়ায় যুদ্ধ করছিলেন ভারতীয় সেনা রেহমান গুল।
এপ্রিল থেকেই বারবার চেষ্টা করেও বাংলাহিলিতে পাকবাহিনীর দুর্গ ভেদ করে সামনে এগুতে ব্যর্থ হয় মুক্তিবাহিনী। ভারতীয় আর্মি শুরু থেকেই তাদের বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও গোলা-বারুদ দিয়ে সহায়তা করে। এর আগে তারা সাধারণ বাঙালিদের গেরিলা প্রশিক্ষণও দেয়।
রেলওয়ে কারখানায় কাজ করতে অনীহা ছিল বাঙালিদের। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় তাই বিহারীদের জায়গা দেওয়া হয় সৈয়দপুরে। এখানে এসে তারা নীরবেই বসবাস করতে থাকে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন পাগলী। হাসিনা পাগলী। এ নামেই পরিচিত সবার কাছে।
বাংলাদেশ সীমান্তে যেখানে পাহাড় এসে শেষ হয়েছে সেখানেই শুরু টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প। এক সময়ের ব্যস্ত খনি এখন শুধু কালের সাক্ষী। টেকেরঘাটের সঙ্গে তখন যে রেললাইন ছিল তা এখনো...
১৯৭১ সাল। ১৮ জুন, শুক্রবার। জুমার নামাজের সময়। মসজিদে কয়েকশো মুসল্লি জড়ো হয়েছেন নামাজ আদায়ের জন্য। নামাজও প্রায় শেষ তখন।
৬ নম্বর সেক্টরের একটি বড় যুদ্ধক্ষেত্রের নাম অমরখানা। এখান দিয়ে বয়ে গেছে ভারতের চাউলহাটি থেকে নেমে আসা চাওয়াই নদী।
সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য ইতিবাচকভাবে পাল্টে দিতে পারতো যুদ্ধের গতিপথ। কিন্তু তথ্য আদান-প্রদান ছিলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রীতিমতো দুরূহ কাজ। প্রযুক্তিও এতো উন্নত ছিল না সেসময়।
ভৌগলিক সুবিধার কারণে মুক্তিবাহিনীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম। আর পাকবাহিনীর কাছে এই স্থানটি ছিল অপ্রতিরোধ্য আর দুষ্প্রবেশ্য।
১০ মে তারিখে পাকিস্তানি হানাদাররা প্রবেশ করে সুনামগঞ্জে। ভারী অস্ত্রের সামনে অল্প সংখ্যক আনসার আর ইপিআর সদস্যদের প্রতিরোধ ব্যর্থ হয়।
দূরের লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুত সময়ে আঘাত হানার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো মর্টারশেল। এর সুবিধা ছিল ভারতীয় সীমান্তের নিরাপদ অবস্থানে থেকেও পাকিস্তানি সেনাদের উপর আক্রমণ করা যেতো।
পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে সে খবর ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। এ খবরে রৌমারীর ছাত্র-সেনা-শিক্ষক-জনতাও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
এম এ উসমান গণি, দেবী রঞ্জন, মাজেদ, হাফিজ, জলিলসহ এরা আট বন্ধু। এপ্রিলের এক ভোরে এরা সবাই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান একযোগে।