ডারবান: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে উঠেছে ভারতের ক্লাব চেন্নাই সুপার কিংস। শুক্রবার তারা প্রথম সেমিফাইনালে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৫২ রানে হারিয়েছে স্বদেশী ক্লাব রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে।
চেন্নাই সুপার কিংস ইনিংস: ১৭৪/৪ (ওভার ১৭)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ইনিংস: ১২৩ (ওভার ১৬.২)
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়ের। ৩.৫ ওভারে বিনয় কুমারের বলে ডেল স্টেইনের হাতে ধরা পড়েন ওপেনার মাইকলে হাসি (৬)। দলের রান তখন ১৯।
অন্য প্রাপ্তে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয় ও সুরেশ রায়না রানের চাকা সচল রাখেন। এই জুটি ভাঙ্গে দলীয় ১০০ রানের মাথায়। বিনয়ের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুরালি (৪১)। এরপর অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি ১১ ও অ্যালবি মর্কেল বিদায় নেন ৫ রানে।
তবুও রান তোলার গতি কমেনি চেন্নাইয়ের। রায়নার হার না মানা ৯৪ রানের সুবাদে লড়াইয়ের পূঁজি পায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)’র চ্যাম্পিয়নরা। ৪৮ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। যদিও রৈরি আবহাওয়ার কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ২০ ওভারের পরিবর্তে খেলা হয়েছে ১৭ ওভার।
বিনয় কুমার ২৮ রানে নেন দুটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ক্যামেরন হোয়াইট ও ডিলন ডু পেরেজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের বোলিং তোপে পড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৬৭ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অনিল কুম্বলের দল।
এই বিপর্যয় থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি ব্যাঙ্গালোর। ফলে ১৬.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ওপেনার মনিশ পান্ডে। চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।
২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন ডোগ বোলিঞ্জার। এছাড়া দুটি উইকেট নেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সুরেশ রায়না।
২৬ সেপ্টেম্বর জোহানেসবার্গে হবে ফাইনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১০