ঢাকা: ঢাকা ওয়ারিয়ার্স বিলুপ্ত হয়েছে। বিদ্রোহী সেই ক্রিকেটারদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও নেই।
হাবিবুল বাশার অবসর নিয়েছেন। মোহাম্মদ রফিক ও মঞ্জুরুল ইসলামের খোঁজ-খবর নেই। ঢাকা ওয়ারিয়ার্সের বাকি ১০ জন ক্রিকেট খেলেন। সাতজন আটকে গেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের গন্ডিতে। কেবল শাহরিয়ার নাফিস, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও অলক কাপালী স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন।
শাহরিয়ার নাফিস জাতীয় দলে আছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে নাজিমউদ্দিনকে অতিরিক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে। অলক কাপালি এখনো মূলস্রোতের সঙ্গে মিশে যেতে পারেননি। এই তিন ক্রিকেটারের ওপর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)ও আস্থা হারায়নি।
জাতীয় দল নির্বাচকরা প্রত্যেকের খোঁজ খবর রাখেন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমও মনে করেন পারফর্ম করলে এই তিনজন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন। প্রয়োজন ক্রিকেটের সঙ্গে অবিচ্ছ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা। রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন,“নিয়মিত ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে আমার মনে হয় অলক, শাহরিয়ার এবং নাজিম জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারবে। ”
অথচ ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ, স্পিনার মোশারফ হোসেন রুবেল, উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষ, অল-রাউন্ডার ফরহাদ রেজা ও একাডেমির ক্রিকেটার মাহাবুবুল করিমের সম্ভাবনাও কম ছিলো না। আইসিএল তাদের সবাইকেই পিছিয়ে দিয়েছে বৈকি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা বিবেচ্য নয়। প্রধান নির্বাচক মনে করেন,“এই পাঁচ ক্রিকেটারের সম্ভাবনা ছিলো। এখন নেই। ভবিষ্যতেও আগের অবস্থায় ফিরতে পারবে বলেও মনে হয় না। ”
আইসিএলে যাওয়ার আগে মুশফিকুর রহিমকে পেছনে ফেলে জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে নিজেকে অনেকটা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন ধীমান ঘোষ। আব্দুর রাজ্জাকের বিকল্প হিসেবে মোশারফ হোসেন অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়ে ছিলেন। ফরহাদ রেজা জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। এছাড় মাহাবুবুল করিম অনূর্ধ্ব-১৯ ও একাডেমি দলে খেলেছেন। জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার মনে করা হচ্ছিলো তাকে।
আইসিএল থেকে ফেরার পরও আফতাব আহমেদ জাতীয় দলেই খেলেছেন। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার। বরং নিজেকে দিন দিন ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
অবশ্য তাদের প্রত্যেকেই জাতীয় লিগে খেলছেন। অনেকে দলনেতার দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক করা হয়েছে মোহাম্মদ শরিফকে। মোশারফ হোসেনও খেলছেন ঢাকা বিভাগে।
নাজিম উদ্দিন, আফতাব আহমেদ ও মাহবুবুল করিম খেলছেন চট্টগ্রাম বিভাগে। ফরহাদ রেজা ও ধীমান ঘোষ খেলবেন রাজশাহীতে। অলক কাপালী (অধিনায়ক), তাপশ বৈশ্য ও গোলাম মাবুদ চৌধুরী খেলছেন সিলেট বিভাগীয় দলে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১০