ঢাকা: জর্ডানের পর ইরানও গোলবন্যায় ভাসালো বাংলাদেশের মেয়েদের। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ফুটবলের বাছাই পর্বে বুধবার ফেভারিট ইরানের কাছে ৬-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানতালেই লড়েছে বাংলাদেশ। বেশ কিছু সুযোগও এসেছিলো। খেলার ষষ্ঠ মিনিটেই সাবিনার পাস থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান মিরোনা। কিন্তু রেফারি অফ সাইডের বাঁশি বাজালে হতাশা নেমে আসে বাংলাদেশ শিবিরে।
পরে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা এগিয়ে যায়। শক্ত ডিফেন্স ও গোলরক্ষক সাবিনা আক্তারের দৃঢ়তায় একাধিক হামলা সামলে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বিরতির আগের মিনিটে তানিন নারাগি ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ইরানকে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পায় ইরান। গোল করেন অধিনায়ক জাহরা। যদিও পেনাল্টি নিয়ে মাঠে বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ায় মনোবল হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ১০ মিনিটের ব্যাবধানে নতুন করে আরো তিন গোল হজম করতে স্বাগতিক মেয়েরা। তানিন নারাগি ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় এবং ৭৪ মিনিটে নিজের তৃতীয় গোল করেন। ৮৬ মিনিটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন অধিনায়ক জাহরা ঘানবারি।
টানা দুই ম্যাচ হারায় টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশের আর কিছুই পাওয়ার নেই। বরজোর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের ব্যবধানটা ছোট রাখাই স্বাগতিকদের লক্ষ্য থাকবে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ মাহমুদ আলম বাবু বলেন,‘‘আজকে আমার মেয়েরা চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত খেলেছি আমরা। কিন্তু ছোট ছোট ভুলে গোল খেয়েছি। শারীরিক গঠন ও সামর্থের অভাবও একটা কারণ ছিলো। ”
এদিকে ইরানের অধিনায়ক জাহরা বলেন,“প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ভাল খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল পাল্টে খেলি আমরা। দ্বিতীয় গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। আশা করি পরে ম্যাচে জর্ডানের বিপক্ষেও সাফল্য পাবো আমরা। ”
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০