করাচি: স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা শেষ না হতেই পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে চটেছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের মতে শুধু অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একটি দেশের সবাই শাস্তি পেতে পারে না।
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের বিপক্ষে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ান বোথাম ও মাইকেল ভন।
এএফপির এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বলেন,“যে কোনো ধরনের অবৈধ কাজের জন্যই একটি দেশের সবাইকে শাস্তি দিতে এবং লাখ লাখ ভক্তদের বঞ্চিত করা যায়না। বিশেষ করে যেখানে অভিযোগ এখনো প্রমাণ হয়নি। ”
১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আরো বললেন,“এ অভিযোগের একমাত্র প্রমাণ হলো নিউজ অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডের ঐ ফুটেজ যেখানে কেউ একজন (অভিযুক্ত বাজিকর মাজহার মাজিদ) খেলোয়াড়দের দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন। ”
৮৮ টি টেস্ট আর ১৭৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার পুরো বিষয়টিকে সাধারণ বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করার আহবান জানিয়েছেন।
আগস্টের শেষে পাকিস্তানের সাত ক্রিকেটারে বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টে অর্থের বিনিময়ে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ প্রকাশিত হয় বৃটিশ ট্যাবলয়েড নিউজ অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডে। রিপোর্টের সূত্র ধরে আইসিসি পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক সালমান বাট, দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে।
এ ঘটনাকে আকষ্মিক মনে করেন না ইমরান। বৃটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর দ্বৈতনীতির সমালোচনা করে বলেন,“অনেক দিন ধরেই বৃটিশ ট্যাবলয়েডের নিশানা ছিল পাকিস্তান দল। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান যখন ইংল্যান্ড দলকে বিধ্বস্ত করে তখন তারা ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের বিরুদ্ধেও বল টেম্পারিংয়ের ধোঁয়া তুলেছিল। আবার তারা যখন ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড অ্যাসেজ সিরিজে জিতলো তখন তাদের কাছেই রিভার্স সুইং হয়ে গেল একটা শৈল্পিক দক্ষতা। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০