ঢাকা: গ্রামীণফোন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার তারা ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরুতেই আরামবাগকে চেপে ধরে আবাহনী। ১৯ মিনিটে প্রথম সফলতা পায় তারা। বামপ্রান্ত থেকে ওয়ালি ফয়সালের ক্রস আরামবাগ রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে জটলায় বল পেয়ে যান আউদু ইব্রাহিম। ঘানাইয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট জাল খুঁজে নিলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ধারার বিপরীতে গোল করে নয় মিনিট পরই সমতায় ফেরে আরামবাগ। স্বদেশি এলিটা কিংসলের থেকে বক্সে বল পেয়েই টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন উজুমেফান জোয়েল।
তবে বেশিক্ষণ সমতা ধরে রাখতে পারেনি আরামবাগ। ৩৩ মিনিটে জাহিদের ক্রস থেকে গোলরক্ষক বিষ্ণুকে পরাস্ত করে আকাশী-নীলদের এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড লাকি পল (২-১)। ৩৮ মিনিটে জাহিদ নিজেই গোল করেন। বামপ্রান্ত থেকে ওয়ালি ফয়সালের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে লাইন মিস করেন আরামবাগ অধিনায়ক দিন মোহাম্মদ। জাহিদ টোকা দিয়ে বল আগুয়ান গোলরক্ষক বিষ্ণুর মাথার ওপর জায়গা মতো পাঠিয়ে দেন (৩-১)।
বিরতির আগ মুহুর্তে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করে আরামবাগ। ডানপ্রান্ত থেকে এলিটা কিংসলে ডালিমের (৭) সঙ্গে বল আদান প্রদান করে ছোট বক্সে ঢুকে পড়েন। ডালিম গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল বাড়িয়ে দিলেও ফাকা পোস্টে নিশানা ভেদে ব্যর্থ হন এলিটা। ৭৫ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় তুয়াম ফ্রাঙ্কের বলে ব্যবধান ৪-১ এ উন্নীত করে কোচ আলী আকবরের শিষ্যরা। বাকি সময়ে সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পেশাদার লিগের হ্যাট্টিক চ্যাম্পিয়নরা।
আবাহনী কোচ আলী আকবর বড় জয়ের কৃতিত্ব দিলেন স্বদেশি খেলোয়াড়দের, ‘প্রতি ম্যাচেই আমাদের উন্নতি হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা ভালো খেলেছে। আরমান আজিজ, নাসির ও জাহিদের পারফরমেন্সের উন্নতি হয়েছে। বিদেশিরা তো মোটামুটি ভালো খেলে সঙ্গে স্থানীয়রাও ভালো খেললে জয় সহজ হয়। ’
অন্যদিকে আরামবাগ কোচ শেখ জাহিদুর রহমান মিলন বলেন, ‘ফলাফল প্রত্যাশিত ছিলো। আমাদের তিন ডিফেন্ডার ইনজুরিতে থাকায় রক্ষণভাগ দুর্বল ছিলো। দলের পারফরমেন্স খুব একটা খারাপ ছিলো না। সমতায় ফিরেও পরে পিছিয়ে পড়েছি আমরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১২