লন্ডন: কয়েক মৌসুম ধরেই সাফল্য খরা চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। তবে আয়ের দিক থেকে ঠিকই পকেট উপচে পড়ছে স্প্যানিশ ক্লাবটির।
অ্যাকাউন্টেন্সি ফার্ম দেলোইত্তে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ আয় করা ফুটবল ক্লাবগুলোকে নিয়ে যে র্যাঙ্কি করে সেটা দেলোইত্তে ফুটবল মানি লিগ নামে পরিচিত। ফার্মটির র্যাঙ্কিং অনুসারে ফুটবল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাত থেকে গত মৌসুমে সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জন করে রিয়াল। আয়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখলে এই মৌসুমেও শীর্ষস্থান খোয়ানোর আশঙ্কা তেমন নেই স্প্যানিশ ক্লাবটির। এটা হলে আগামী বছর তারা ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টানা আট মৌসুম শীর্ষে থাকার রেকর্ড ছোঁবে।
এদিকে আয়ের দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষ সাতটি দলের মধ্যে কোনো স্থান পরিবর্তন হয়নি। ২০১০ মৌসুমের মতো গত মৌসুমেও আগের অবস্থান ধরে রেখেছে ক্লাবগুলো। তালিকায় বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থানে এবং যথাক্রমে পরবর্তী স্থানগুলোতে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল, চেলসি, এসি মিলান, ইন্টার মিলান, লিভারপুল ও শালকে। তালিকায় শীর্ষ বিশটি ক্লাবের মধ্যে সর্বোচ্চ ছয়টি ইংলিশ লিগের, পাঁচটি ইতালির সিরি ‘আ’, চারটি জার্মানির বুন্দেসলিগা, তিনটি স্প্যানিশ লা লিগা ও দুটি ফরাসি লিগের।
তবে ক্লাবগুলোর জন্য ভাল খবর শুনিয়েছে দেলোইত্তে। ইউরো জোনের আর্থিক মন্দা ফুটবল ক্লাবগুলোর আয়ে তেমন পরিবর্তন আনতে পারেনি। বরং ২০১০ মৌসুমের তুলনায় গত মৌসুমে তিন শতাংশ বেশি উপার্জন করেছে ক্লাবগুলো। আর সম্মিলিতভাবে ২০টি ক্লাবের আয় হচ্ছে ৪.৪ বিলিয়ন ইউরো।
এদিকে কাতার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জার্সি স্পন্সরশিপ বাবদ প্রতি মৌসুমে বার্সেলোনা ৩০ মিলিয়ন ইউরো পাবে। এছাড়া ফিফা বিশ্ব ক্লাব কাপ জয় করে ৩.৫ মিলিয়ন আয় করেছে কোচ পেপ গার্দিওলার দল। সবমিলিয়ে রিয়ালকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা একমাত্র বার্সেলোনারই রয়েছে বলে দেলোইত্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
গত মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়ে তালিকায় ছয় ধাপ এগিয়ে এসে শীর্ষ দশে জায়গা করে নেয় জার্মান ক্লাব শালকে। রিপোর্টে আভাষ দেওয়া হয়েছে এ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার সুযোগ পাওয়ায় আয়ের দিক থেকে শালকে’কে হটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইংলিশ ক্লাবটির।
শীর্ষ দশে থাকা অপর ক্লাবগুলোর উপাজর্ন বার্সা- ৪৫০.৭ মিলিয়ন, ম্যান ইউ- ৩৬৭ মিলিয়ন, বায়ার্ন মিউনিখ- ৩২১.৪ মিলিয়ন, আর্সেনাল- ২৫১.১ মিলিয়ন, চেলসি- ২৪৯.৮ মিলিয়ন, এসি মিলান-২৩৫.১ মিলিয়ন, ইন্টার মিলান- ২১১.৪ মিলিয়ন, লিভারপুল ২০৩.৩ মিলিয়ন ও শালকে- ২০২.৪ মিলিয়ন ইউরো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১২