ঢাকা: গ্রামীণফোন প্রিমিয়ার লিগে শুভ সূচনা করেছে পেশাদার লিগের হ্যাট্টিক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। শনিবার তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে দশজনের দল রহমতগঞ্জকে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরুতে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ২৭ মিনিটের আগে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আবাহনী। ডানপ্রান্ত থেকে নাসিরের ক্রস গোলরক্ষক সুজন চৌধুরীকে একা পেলেও মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন ফ্রাঙ্ক। ৩৬ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় রহমতগঞ্জ। নাসিরকে ট্যাকল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সামসুজ্জামান সোহেল। তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আবাহনী স্ট্রাইকারদের ঠেকিয়ে রাখতে সমর্থ হয় রহমতগঞ্জ।
দ্বিতীয়ার্ধে রহমতগঞ্জের মনোবল ভেঙ্গে দেন জাহিদ হোসেন। ৫৯ মিনিটে সুজনের হেড থেকে প্লেসিং শটে নিশানাভেদ করেন এই মিডফিল্ডার। পাঁচ মিনিট না যেতেই ব্যবধান ২-০ তে উন্নীত করেন তৌহিদুল আলম। ইব্রাহিমের সঙ্গে বল বিনিময় করে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। এই অর্ধেও ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে উঠছিলেন ফ্রাঙ্ক। বদনাম মুছে দেন ৭২ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে নাসিরের লবে পা ছুঁইয়ে দলের তৃতীয় গোল করেন। এর তিন মিনিট আগে তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এই ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার। শেষ দশ মিনিটে রহমতগঞ্জকে চেপে ধরলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আকাশী-নীলরা।
স্ট্রাইকারদের পারফরমেন্সে খুশি হতে পারেননি আবাহনী কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি, ‘আমাদের কমপক্ষে ১০-১২ গোলে জেতা উচিত ছিলো। কিন্তু দুই গোল দেওয়ার পরই খেলোয়াড়রা হাল ছেড়ে দেন। অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করেছে স্ট্রাইকাররা। ’
অন্যদিকে রেফারিংয়ের ওপর ক্ষুব্ধ রহমতগঞ্জ কোচ মাহমুদুল হক লিটন, ‘আমাদের তো মাঠে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা এমনিতে মাঠে পড়লেও ফ্রিকিক দিয়েছেন রেফারি। আমার খেলোয়াড়দের ট্যাকল করা হলেও সেটা তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১২