ঢাকা: একের পর এক পরাজয়ে হাঁসফাঁস করতে থাকা ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস)’র জন্য একটি জয় খুব দরকার ছিলো। আগে যে আটটি ম্যাচ খেলেছে তাতে মাত্র দুটি জয় ছিলো তাদের।
এই জয়টিই হয়তো তাদেরকে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে থেকে যাওয়ার একটা সুযোগ করে দেবে। আর অষ্টম হতে পারলেই অবনমন লিগে খেলতে হবে না। ওদিকে লিগ শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে গেলো ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে হেড-টু-হেডে এগিয়ে থেকে তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে তারা। যদিও নেট রানরেটে এগিয়ে ওল্ডডিওএইচএস। নয় ম্যাচে গাজী ট্যাঙ্ক, আবাহনী ও শেখ জামালের পয়েন্ট সমান ১২। প্রাইম দোলেশ্বরের আট, সিসিএস ও ব্রাদার্স ছয় পয়েন্ট করে তুলেছে।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সিসিএস ইনিংস শেষ করে সাত উইকেটে ২৭০ রান তুলে। উদ্বোধনী জুটিতে রবিউল ইসলাম রাব্বি ও অমিত মজুমদার ১২৬ রান তুলে শক্ত ভিত গড়ে দেন। রবিউল ৬৫ রানে আউট হলে পরপর আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেট ব্যাটসম্যান অমিত ৮৭ করে সাজঘরে গেলে পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের সোলেমান খান ধুমধারাক্কা চার ছয় হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৬০ রান তুলে ফেলেন। অপরাজিত ব্যাটসম্যান যোবায়ের আহমেদ করেন ৩০ রান। দোলেশ্বরের মনির হোসেন চার উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দোলেশ্বর। তাদের কোন ব্যাটসম্যান অর্ধশতক রানে যেতে পারেনি। তবে ছয়জন দুই অঙ্কের ঘরে রান পাওয়ায় শেষপর্যন্ত নয় উইকেটে ২০২ রান করতে পারে। সিসিএসের রশিদ হানিফ তিনটি ও রবিউল ইসলাম দুটি উইকেট নেন।
অন্যদিকে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সাকিব-তামিমের ভিক্টোরিয়া ১২৬ রানে গুঁড়িয়ে দেয় ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। দলের সবার ব্যর্থতার মাঝেও ৪৭ রানের স্বস্তি সোহাইল আহমেদের। ভিক্টোরিয়ার মোশারফ হোসেন তিনটি, আল-আমীন ও সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট নেন। লক্ষ্য ছোট হলেও প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে চারটি উইকেট দিয়েছে ভিক্টোরিয়া। তবে তামিম ৪৯ ও জহুরুল ইসলাম ৫৫ করলে ৩০.২ ওভারেই লিগে অষ্টম জয় নিশ্চিত হয় ভিক্টোরিয়ার।
বিকেএসপি মাঠে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ও সূর্যতরুণের মধ্যকার খেলাটি হয়নি। কলাবাগান মাঠে উপস্থিত থাকলেও নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে পারেনি সূর্যতরুণ। তবে এই খেলার ভাগ্য এখন ঝুলে আছে ঢাকা মেট্রোপলিটন লিগ কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১২