ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে আরও তিন রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২১
সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে আরও তিন রেকর্ড সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড গড়লেন নৌবাহিনীর তিন সাঁতারু। ছবি: শোয়েব মিথুন

সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে রেকর্ড গড়লেন নৌবাহিনীর তিন সাঁতারু- মাহফিজুর রহমান সাগর, আসিফ রেজা ও সোনিয়া খাতুন। ৫০ মিটারের আগে সাঁতারের প্রথম দিন ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে রেকর্ড গড়েন সোনিয়া খাতুন।

এ নিয়ে দুই দিনে সাঁতারে ৬ রেকর্ড হলো। প্রথমদিন ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে জুয়েল আহমেদ, মেয়েদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সোনিয়া খাতুন ও ছেলেদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে মাহমুদুন্নবী নাহিদ রেকর্ড গড়েন।

মাহফিজুর রহমান সাগর ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে, আসিফ রেজা ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ও সোনিয়া খাতুন ৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে রেকর্ড গড়েন।

সোনা জয়ের পথে ২০১৬ সালে গড়া নিজের পুরনো রেকর্ড ভেঙ্গেছেন পাবনা থেকে উঠে আসা মাহফিজুর রহমান সাগর। রোববার সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে তার টাইমিং ছিল ১ মিনিট ৫৮.২৫ সেকেন্ড। ২০১৬ সালে তার রেকর্ড টাইমিং ছিল ১ মিনিট ৫৮.৪৪ সেকেন্ড।

এ ইভেন্টে রুপা জিতেছেন সাগরের নৌবাহিনী সতীর্থ আসিফ রেজা। তার টাইমিং ছিল ২ মিনিট ০.৮২ সেকেন্ড। ব্রোঞ্জ জয়ী সেনাবাহিনীর ফয়সাল আহমেদের টাইমিং ২ মিনিট ২.৪৬ সেকেন্ড।

৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে আসিফ রেজা সময় নিয়েছেন ২৩.৩২ সেকেন্ড। এ ইভেন্টে আগের রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ার এ সাঁতারুরই গড়া, ২৩.৮৫ সেকেন্ডের। ২৩.৯২ সেকেন্ড এ ইভেন্টে রুপা জিতেছেন মাহফিজুর রহমান। ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিফাত উল্লাহর টাইমিং ছিল ২৪.৪০ সেকেন্ড।

৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে সোনা জয়ের পথে রেকর্ড গড়তে সোনিয়া খাতুন সময় নেন ৩০.৬৩ সেকেন্ড। ২০১৬ সালে আগের রেকর্ড ছিল নাজমা খাতুনের, ৩১.১৭ সেকেন্ডের। নৌবাহিনীর  সোনিয়া আক্তার ৩১.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে এ ইভেন্টে রুপা জিতেছেন। সেনাবাহিনীর ফাতেমা আক্তার ৩১.৮২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

নারীদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে জুনাইনা আহমেদ ২ মিনিট ২৩.৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন। রুপা জয়ী তার নৌবাহিনী সতীর্থ সোনিয়া আক্তার টুম্পার টাইমিং ছিল ২ মিনিট ২৪.০১ সেকেন্ড। ২ মিনিট ৩৪.৪৭ সেকেন্ডে ইভেন্ট শেষ করা সেনাবাহিনীর শারমিন সুলতানা ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

ছেলেদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদের ১ মিনিট ১.৩৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন। ১ মিনিট ৩.১৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন নৌবাহিনীর মামুনুর রশীদ। ব্রোঞ্জ জয়ী নৌবাহিনীর নূরে আলমের টাইমিং ১ মিনিট ৩.২৮।

২০০ মিটারের পর ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকেও সোনা জিতেছেন উদীয়মান যুথি আক্তার। নৌবাহিনীর এ সাঁতারু ১ মিনিট ১৪.২০ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। রুপা জয়ী সেনাবাহিনীর নাঈমা আক্তার সময় নিয়েছেন ১ মিনিট ১৫.৪৮ সেকেন্ড। ব্রোঞ্জ জয়ের পথে সুরাইয়া আক্তার সময় নিয়েছেন ১ মিনিট ১৭.৭১ সেকেন্ড।

আসিফ রেজার মতো রেকর্ড গড়তে না পারলেও নারীদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সোনা জিতেছেন তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। ২৯.৬৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন তিনি। নৌবাহিনীর আরেক সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ ৩০.৩৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন। ব্রোঞ্জ জয়ী বিকেএসপির রুপা খাতুনের টাইমিং ছিল ৩১.৮৪ সেকেন্ড।

৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন নৌবাহিনীর মাহমুদুন্নবী নাহিদ। এ জন্য তার সময় লেগেছে ২৬.০২ সেকেন্ড। সেনাবাহিনীর জামরুল মিয়া ২৬.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন। নৌবাহিনীর অনিক ইসলাম ব্রোঞ্জ জিতেছেন ২৬.৫৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে।

৪x২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলে ইভেন্টে নারী ও পুরুষ দুই বিভাগে সোনা জিতেছে নৌবাহিনী। নারী ইভেন্টে লিমা আক্তার, সোনিয়া খাতুন, সুরাইয়া আক্তার ও সোনিয়া আক্তার টুম্পা সোনা জয়ের পথে সময় নেন ১০ মিনিট ১০.৪৩ সেকেন্ড।

শারমিন সুলতানা, সবুরা খাতুন, চামেলি আক্তার ও নাঈমা আক্তারকে নিয়ে গড়া সেনাবাহিনী ১০ মিনিট ৩৪.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছে। ১০ মিনিট ৪৮.৭১ সেকেন্ডে ইভেন্ট শেষ করে ব্রোঞ্জ পায় বিকেএসপি।

ছেলেদের ইভেন্ট মাহফিজুর রহমান সাগর, কাজল মিয়া, আসিফ রেজা ও পলাশ চৌধুরীকে নিয়ে গড়া নৌবাহিনী দল সময় নেয় ৮ মিনিট ১৬.৬০ সেকেন্ড। রুপা জয়ের পথে সিফাত উল্লাহ, জুয়েল আহমেদ, শাহিন আলম ও ফয়সাল আহমেদকে নিয়ে গড়া সেনাবাহিনী দল ৮ মিনিট ৪৩.৭২ সেকেন্ড সময় নেয়। ৯ মিনিট ৪৩.৯৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছে ভাটি বাংলা সুইমিং ক্লাব।

ডাইভিং ১ মিটার স্প্রিং বোর্ড ইভেন্টে ২৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতেছেন নৌবাহিনীর সাদী মোহাম্মদ মহসিন। রুপা জয়ী বিকেএসপির মোহাম্মদ ইমন হোসেনের স্কোর ২৩১.৪৫। নৌবাহিনীর অনিক ইসলাম ব্রোঞ্জ জয়ের পথে ২২৮.৭৫ স্কোর গড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২১
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।