ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সবার আগে বাংলা চ্যনেল পাড়ি দিলেন সাড়ে ১৩ বছরের রাব্বি

সুনীল বড়ুযা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
সবার আগে বাংলা চ্যনেল পাড়ি দিলেন সাড়ে ১৩ বছরের রাব্বি তিন বিজয়ীয় মাঝখানে রাব্বি

কক্সবাজার: কক্সবাজার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে এক সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেল  পাড়ি দিয়েছিলেন ৪৩ জন সাঁতারু। যেখানে ছিলেন ১ জন বিদেশি, ২ জন নারী ও ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

সবাইকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেন মাত্র ১৩ বছর ৬ মাস বয়সী রাব্বি রহমান। রাব্বি ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দেন মাত্র ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিটে।

বগুড়ার সুবিল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাব্বির এ অর্জনে দারুন উচ্ছসিত।

রাব্বি রহমান বলেন, ‘এই অর্জনে আমি যেন বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন এবং সবার আগে আমি পাড়ি দিয়েছি।

‘আগামীতে আরও বড় বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চাই। এ জন্য সরকার ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতা চাই। ’, যোগ করেন রাব্বি।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ওই ৪৩ জন সাঁতারু।

১৫ বারের মত বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজন করেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।

দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৪৩ জন সাঁতারু। সবার আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে প্রথম পৌঁছেন ১৩ বছর বয়সী রাব্বি রহমান। রাব্বি ছাড়া সাইফুল ইসলাম রাসেল ৩ ঘন্টা ২১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিটে পাড়ি দিয়ে তৃতীয় হয়েছেন সোজা মোল্লা। বাকি সাঁতারুরা পর্যায়ক্রমে বিকেল ৫টার পর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছান।

এছাড়াও ফরাসি সাঁতারু সিগফ্রিড রে ৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় নিয়ে সাঁতার শেষ করেন। বাংলা চ্যানেল সাঁতারে অংশ নেওয়া দুই নারী সাঁতারু হলেন রাজশাহীর আলমগীর সুইমিং ক্লাবের মৌনতা আফরিন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্রী সোমা রায়।  

এই দলে আরও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আলী রওনক ইসলাম। তিনি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন এবার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিশু বিশ্বাস ও পুলিশ সার্জেন্ট মো. রাশেদুল ইসলামও এবার চ্যানেল পাড়ি দেন।
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ আয়োজন করা হচ্ছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে ছিল একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা।

এছাড়া ছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরী নৌকা ও ডুবুরিয়া। এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও পর্যটন বোর্ড।

আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। এছাড়া পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল ভিসা থিং ও এনসিসি ব্যাংক। আয়োজনের অংশীদার হিসেবে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টুডিও ঢাকা ও ষড়জ এবং রেসকিউ পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

প্রসঙ্গত, অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০ 
এসবি/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad