ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ফের ৩২৯ করে আইরিশদের জয়, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের লজ্জার হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২০
ফের ৩২৯ করে আইরিশদের জয়, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের লজ্জার হার

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। তবে নিয়মরক্ষার শেষ ওয়ানডেতে অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সেঞ্চুরিতে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডকে ৩২৯ রানের বিশাল টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা।

কিন্তু পল স্টার্লিং এবং অ্যান্ডি বালবার্নির সেঞ্চুরি ও রেকর্ড গড়া জুটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় আইরিশরা। আর এ জয়ের ফলে ওয়ানডে সুপার লিগের মূল্যবান ১০টি পয়েন্টও অর্জন করেছে তারা।

মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) সাউদাম্পটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান করে। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৯ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রতিবেশী দেশটি। এদিন ১ বল বাকি থাকতে ইংল্যান্ডের ৩২৮ রান ছাড়িয়ে গড়েছে রেকর্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই আগের রেকর্ড ছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে জিতেছিল ৩২৭ রান তাড়া করে। এবারের মতো সেবারও ৩২৯ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৯ ওভারে ৫০ রান তোলেন দুই ওপেনার স্টার্লিং ও গ্যারেথ ডেলানি। তবে ব্যক্তিগত ১২ রানে ডেভিড উইলির বলে আউট হন ডেলানি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই রেকর্ড গড়ে জয়ের ভিত্তি ঠিক করে ফেলেন স্টার্লিং ও অধিনায়ক বালবার্নি।

স্টার্লিং ৫২ বলে ফিফটি করেন। আর বালবার্নি ৪৩ বলে। এই জুটির শতক হয় ৮৮ বলে। ওপেনার স্টার্লিং ৯৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির দেখা পান। ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেতে আইরিশ অধিনায়কের লাগে ১০০ বল। অবশেষে স্টার্লিংয়ের রান আউটে ভাঙে ২১৪ রানের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে আইরিশদের সেরা জুটি। আর যে কোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও কেভিন ও’ব্রায়েনের ২২৭ এখনও সেরা।  

স্টার্লিং ১২৮ বলে ৯টি চার ও ৬টি চারের সাহায্যে ১৪২ করেন। আর বালবার্নি ১১২ বলে ১২টি চারে ১১৩ করেন। শেষদিকে হ্যারি টেক্টরের ২৬ বলে অপরাজিত ২৯ ও কেভিন ও’ব্রায়েনে অপরাজিত ১৫ বলে ২১ রানে ইনিংসে দুর্দান্ত জয়টি তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে উইলি ও আদিল রশিদ একটি করে উইকেট পান।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ১৪ রানেই দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়াস্টোকে হারায় স্বাগতিকরা। দ্রুত ফিরেত যান তিন নাম্বারে নামা জেমস ভিন্সও (১৬)। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪৬ করে বড় স্কোরের আভাস দেন অধিনায়ক মরগান ও টম ব্যান্টন। মরগান ৮৪ বলে ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৬ করে ওয়ানডেতে ১৪তম সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন। ব্যান্টনের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস।

শেষদিকে উইলি ও টম কারানের ব্যাটে বড় পুঁজি পায় ইংলিশরা। উইলি ৪২ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৫১ করেন। আর কারান ৫৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে ক্রেইগ ইয়ং সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। আর জস লিটল ও কার্টিস চ্যাম্পান ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।

ব্যাটিং নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান স্টার্লিং। আর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরা উইলি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
এমএমএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।