ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

দলের প্রয়োজনে উইকেটকিপিং ছেড়ে দেব: সোহান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
দলের প্রয়োজনে উইকেটকিপিং ছেড়ে দেব: সোহান নুরুল হাসান সোহান।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে বর্তমানে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বটা নিয়মিতভাবেই পালন করে আসছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে তার বিকল্প হিসেবে লিটন দাসকেও দেখা যায়। এর মাঝে জাতীয় দলে খেলেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু তার আগমনটা ছিল মুশফিকের অনুপস্থিতি। আর মূলত ব্যাটম্যান হিসেবে খেলেছেন সোহান। তবে দুঃখের বিষয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দেওয়ার পর বাদ পড়ে সোহান কিন্তু দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাননি।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় সোহানের। একই বছর ডিসেম্বরে অভিষেক হয় ওয়ানডেতে।

আর ২০১৭ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার। তবে অভিষেকের পর থেকে জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি সোহান। টিম কম্বিনেশেনের কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাকে। মাত্র ৩টি টেস্ট, ২টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন প্রতিভাবান এই তরুণ।

বাংলানিউজের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন নুরুল হাসান সোহান। জানিয়েছেন জাতীয় দলের জন্য নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করছেন তিনি। দল থেকে বাদ পড়াটা তার কাছ মুখ্য বিষয় না। তবে যেখানেই খেলেন না কেন নিজের সেরা দিতে কখনো ভাবেন না। জাতীয় দলে খেলতে হলে উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলটা তার জন্য বেশি চ্যালেঞ্জের। তাই প্রয়োজনের ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেও প্রস্তুত সোহান।

কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সোহান এমন প্রশ্নের সোহান বলেন, ‘প্রস্তুতি বলতে ফিটনেসের জন্য আলাদা ট্রেইনার রেখেছি। ট্রেনারের সাথে আলাদা পার্সোনাল ভাবে কাজ করি। ফিটনেস ট্রেইনার এবং ব্যাটিং কোচ হিসেবেও পার্সোনাল ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কাজ করি। তবে এখন করোনার জন্য এটা করা হচ্ছে না, বেশ কিছুদিন গ্যাপ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ দেড় থেকে দুই বছর হলো আমি এটা করে আসছি নিজের উন্নতির জন্য। ’

সোহানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় দলে নিজের জয়গা ফিরে পাওয়া। অভিজ্ঞ মুশফিকের জায়গায় তো আর তিনি নিতে পারবেন না। তবে মুশফিকের অবর্তমানে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতেও কঠিন চ্যালেঞ্জ সোহানের সামনে। কারণ লিটন দাস কিন্তু দলের জায়াগাটা পাকা করে ফেলেছেন। তাই ব্যাটসম্যান হিসেবে জাতীয় দলে সোহানের দরজা খোলা।

তিনি বলেন,  ‘উইকেটকিপিংয়ের প্রাধান্যটা বেশি থাকবে আমার কাছে। তবে ব্যাটিংটা নিয়ে কাজ করেছি। কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে মনে হয় ব্যাটিংয়ে আরো বেশি পরিপক্কতা পেয়েছি । হ্যাঁ, অবশ্যই আমি কিপিং বেশি এনজয় করি। তবে আমার থেকে যদি ভালো কিপার থাকে আর যদি ব্যাটসম্যান হয়ে খেলতে হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দলের কথা আমাকে চিন্তা করতে হবে। সাঙ্গাকারার কথা বললে, তিনি ব্যাটসম্যান আবার উইকেটকিপারও। সে ক্ষেত্রে আমার দৃষ্টিকোণ হচ্ছে আমি উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যান। একেক জনের কাছে এটা একেক রকম। একজনের সাথে অন্যজনকে মেলালে চলে না। তবে অবশ্যই সে চ্যালেঞ্জটা নেব আর সবচেয়ে বড় কথা হল চ্যালেঞ্জটা নিজের কাছেই। ’

তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞ ২৬ বছর সয়সী এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ৮৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ৯৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ এরইমধ্যে খেলেছেন। তাই তিনি মনে করেন, একজন ব্যাটসম্যানকে দলে পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।

সোহান বলেন, ‘স্কিলের দিক দিয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমাদের মানসিকতাটা আরেকটু শক্ত করা দরকার। কাউকে সুযোগ দিলে তাকে সুযোগ বেশি দেওয়া উচিত। একটা দলে কিন্তু সবার ভূমিকা একরকম থাকে না। ওপেনার বলেন আর মিডলঅর্ডার বলেন সবারই কিন্তু আলাদা কাজ থাকে। একজন ওপেনারের সেঞ্চুরি করার সুযোগ বেশি থাকে, তবে মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের সেটা নাও থাকতে পারে। সেদিকে চিন্তা করলে সবাইকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া উচিত। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
আরএআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।