ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

বোলারদের জন্য কিছুই রাখেনি আইসিসি: সৈয়দ রাসেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
বোলারদের জন্য কিছুই রাখেনি আইসিসি: সৈয়দ রাসেল সৈয়দ রাসেল/ছবি: সংগৃহীত

একসময় বাংলাদেশ দলের অন্যতম বোলিং ভরসা ছিলেন সৈয়দ রাসেল। বাঁহাতি এই পেসার জাতীয় দলের হয়ে ৬ টেস্টে ১২ উইকেট, ৫২ ওয়ানডেতে ৬১ উইকেট এবং ৮ টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট অর্জন করেন। ক্যারিয়ার খুব বেশি উজ্জ্বল না হলেও জাতীয় দলে তার অবদান অনেক।

সৈয়দ রাসেলকে বলা হতো 'বাংলার চামিন্ডা ভাস'। বোলিং অ্যাকশন এবং বল সুইং করানোর দারুণ দক্ষতার কারণে তাকে এই অভিধা দেওয়া হয়েছিল।

এমনকি বোলিং কিংবদন্তি ভাসের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের দিন ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।  

জাতীয় দলে অভিষেকের আগে অস্ট্রেলিয়ায় বিসিবি'র প্রশিক্ষণ সফরে অজি কিংবদন্তি ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে পরপর ৪ বার আউট করেন রাসেল। মূলত ল্যাঙ্গারই প্রথম রাসেলকে লঙ্কান পেসার ভাসের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্স তাকে মাত্র ৬ টেস্ট খেলানোর পরই আর দলে ডাকেননি। মাঝখানে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ক্যারিয়ারে সাময়িক বিরতি টেনে দেয়। এরপর সুস্থ হয়ে ফিরলেও জাতীয় দলের রাস্তা তৈরি হয়নি।

মূলত সুইংয়ের কারণেই রাসেল ছিলেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। সেই সময়ে ব্যাটসম্যান চিন্তার কারণ ছিলেন রাসেল। বিশেষ করে ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতে বিপক্ষে জয়ে দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ে কুপোকাত করেছেন শেবাগ, গাঙ্গুলী, টেন্ডুলকারদের। রাসেলের পর বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন পেসারের আগমন ঘটেছে। তবে থিতু হতে পেরেছেন কমই।  

বিশেষ করে সুইংয়ের ব্যাপারে অনেকটা পিছিয়ে টাইগার পেসাররা। দেশের মাটিতে মোটামুটি কার্যকর হলেও দেশের বাইরে ঠিক ততটাই বিবর্ণ। কেন টাইগার পেসাররা দেশের বাইরে ভালো করতে পারছেন না তা নিয়ে কথা হলো সৈয়দ রাসেলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন, বর্তমানে বোলারদের জন্য কিছুই রাখেনি আইসিসি।

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-

বাংলানিউজ: বাংলাদেশের পেসারদের জন্য বিদেশের মাটিতে ভালো করাটা চ্যালেঞ্জিং, আপনার মতে এর পেছনে মূল কারণ কি?

সৈয়দ রাসেল: আমার কাছে মনে হয় পেস বোলাররা বাংলাদেশের যে কন্ডিশনে বোলিং করে এটা খুব কঠিন পরিস্থিতিতে বোলিং করে। কোনো হেল্প আসলে বলতে গেলে থাকে না। কিন্তু ইংল্যান্ড,  নিউজিল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় কিছুটা হলেও পেস বোলিং সহায়ক উইকেট পাওয়া যায়। ওখানে আর কিছু না হোক কমপক্ষে উইকেটে কিন্তু ট্রু বাউন্স থাকে। বাংলাদেশ উইকেটগুলো মূলত দেখা যায় সলিড ব্যাটিং উইকেট হয় আর নাহলে স্পিনারদের জন্য হয়, পেস বোলারদের জন্য কিছু থাকে না। এই ধরনের উইকেটে যদি পেস বোলার ভালো করে তবে বাইরে কেন করবে না। মূলত অভ্যাসের কারণে এমনটা হচ্ছে।

বাংলানিউজ: সেক্ষেত্রে দেশের বাইরে বোলারদের কি ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হয়, আপনার অভিজ্ঞতা কি বলে? 

সৈয়দ রাসেল: আমি লাস্ট কিছু খেলা দেখেছি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলা দেখেছি। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ খেলা দেখেছি। এখানে আমার নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা আছে সেটার আলোকে আমি বলতে পারি যে, ধরেন আপনার নিউজিল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ড ওখানে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয় আর আমাদের দেশের যে উইকেটগুলো থাকে, বিশেষ করে মাঠের বোলিং করার আগে যখন লাফ দেই এখানেই পার্থক্য রয়েছে। আমরা যেখানে প্র্যাকটিস করি এখানে উইকেটটা আর মাঠটা সমান থাকে, একই লেভেলে থাকে। কিন্তু ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে যখন আমি খেলতে গিয়েছি তখন দেখেছি যে ওখানে মাঠের থেকে উইকেটটা একটু উপরে থাকে। সেখানকার উইকেটগুলোর বয়স তো প্রায় ১০০ বছর। ওখানে উইকেটে মাটি পড়তে পড়তে এত উঁচু হয়ে গেছে এখন। উইকেটটা একটু উপরে হওয়ায় ইংল্যান্ডের উইকেট বিশেষ করে পেস বোলারদের শরীরের ওজনটা পিছনে চলে আসে তখন বোলারদের লেন্থ হারিয়ে যায়। বাংলাদেশের বোলারদের  এই ধরনের পরিবেশে বোলিং করার অভ্যাস না থাকায় যখন লাফ দিয়ে গুড লেন্থে বল করতে চায় কিন্তু এই উঁচু জায়গার কারণেই বেশির ভাগ সময় তারা শর্ট বল করে। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে ২-৩ ম্যাচ লেগে যায়। যার কারণে বোলাররা বিদেশের মাটিতে সাফল্য পায় না।  

বাংলানিউজ: সেক্ষেত্রে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

সৈয়দ রাসেল: আমার কাছে মনে হয় ইংল্যান্ডে কিংবা যেসব উইকেট সাধারণ মাঠের থেকে একটু উপরে থাকে সেই ধরনের উইকেটে বল করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। অনুশীলনের জন্য যে উইকেটগুলো রয়েছে, একাডেমির মাঠগুলোতে যদি ওই ধরনের উইকেট তৈরি করে দেওয়া যায় তবে বোলাররা ওখানে গিয়ে নিয়মিত বল করে তবে ঐ অভ্যাসটা হয়ে যাবে। কিংবা যে দেশে খেলতে যাবে ঐ দেশের উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিয়ে সেই ধরনের উইকেট বানিয়ে প্রস্তুতি নিলে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা যাবে।

বাংলানিউজ: শুধু কি সফরের আগেই এই ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে নাকি সারা বছরই প্রস্তুতি নেওয় উচিত?

সৈয়দ রাসেল: আমরা তো সব সময় বলে আসছি যে বোলিং উইকেট দরকার নাই, স্পোর্টিং উইকেট করে দেন। যেখানে বোলাররা বাউন্স পাবে। এতে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা থাকবে বোলারদেরও সুবিধা থাকে। ভালো বল করলে যেমন বোলাররা উইকেট পাবে, তেমনি ভালো ব্যাটসম্যান হলে সাইড শট যেমন হুক, পুল ভালো খেলবে। দেশের বাইরে গেলে কিন্তু এই শট খেলতে না পারলে ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি তখন এত সহজ উইকেটে খেলি যে সব ব্যাটসম্যানই রান পাচ্ছে প্রতি ম্যাচে। তার মানে কি আমরা অনুশীলন করছি সহজ উইকেটে, যার কারণে ম্যাচে ভালো করছি না। আমাদের অনুশীলন করা উচিত কঠিন উইকেটে, তবেই না মেইন ম্যাচ গিয়ে আপনার জন্য সহজ হবে।

বাংলানিউজ: তাহলে তো ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটও তো পরিবর্তন আনতে হবে, তাই না?

সৈয়দ রাসেল: আমরা যখন ঘরোয়া লিগ খেলেছি তখন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলেছি। এখন তো আর এইভাবে হয় না। এই পদ্ধতিতে বিভাগীয় উইকেটগুলো ভাগ করে দিতে হবে যে দুটি বিভাগের উইকেট থাকবে পেসারদের জন্য দুটি থাকবে স্পিনারদের জন্য আর দুটি থাকবে ব্যাটসম্যানদের জন্য। তাহলে সবাই জানবে যে কোন উইকেটে কেমন প্রস্তুতি নিতে হবে। এভাবে খেললে আমরা টেস্টে ভালো করতে পারবো।  

বাংলানিউজ: সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কমে এসেছে। এতে বোলারদের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে?

সৈয়দ রাসেল: আমাদের বড় সমস্যা হলো বেশি ম্যাচ খেলি না। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। আমরা যত বেশি ম্যাচ খেলবো ততই আমাদের জন্য ভালো। রান করলে যে ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস কতটা বাড়ে সেটা শুধু একজন ব্যাটসম্যানই বোঝে। বেশি ম্যাচ না খেললে শুধু অনুশীলন করে লাভ নেই। এটা বোলার হোক আর ব্যাটসম্যান হোক সবার জন্যই জরুরি বেশি বেশি ম্যাচ খেলা।

বাংলানিউজ: আপনার সুইং বলের রহস্য কি? 

সৈয়দ রাসেল: আমি যখন তরুণ ছিলাম তখন ক্রিকেট বোর্ড আমাকে বেশিরভাগ সময় বাইরেই রেখেছিল। আমাকে চার মাস ছয় মাস করে ট্যুরেই রাখতো বোর্ড। ওদের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে শিখেছে। আমি সুইং বোলিং শিখেছি বাইরে থেকে। ওই সময় বাংলাদেশে তো সুইং কন্ডিশন ছিল না। ইংল্যান্ডে কয়েক মাস ধরে ছিলাম, অস্ট্রেলিয়াতে ছিলাম। ওখানে ওদের সঙ্গে থেকেই শিখেছি কীভাবে সুইং করাতে হয়।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের জন্য সমস্যাটা কোথায়? 

সৈয়দ রাসেল: এখন তো বাংলাদেশে ঢাকা লিগ শুরু হবে কিংবা প্রথমশ্রেণির ক্রিকেট শুরু হবে এর বাহিরে তো আর কোনো টুর্নামেন্ট নেই। এখন তো বাংলাদেশে চৈত্র মাস বলা যায়। এই সময় আপনি যতই খেলা দেন না কেন উইকেটে কিন্তু ঘাস ফলাতে পারবেন না, পানি কত দেবেন? এই সময় সাধারণত উইকেট ব্যাটিং ট্র্যাক হয়ে যায়। এই পরিবেশে যখন একজন পেস বোলার বল করতে পারে তখন সে কয় ওভার বল করতে পারে? খুব বেশি হলে ৫ ওভার বল করবে। এরপর কিন্তু তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার ওপর উইকেট ব্যাটিং ট্র্যাক। এই পরিস্থিতিতে একটা বোলার কেমন করে শিখবে?

বাংলানিউজ: তাহলে কি বোঝাতে চাচ্ছেন যে বাংলাদেশের ক্রিকেট মৌসুমটা আরও আগেই শুরু করা উচিত?

সৈয়দ রাসেল: অবশ্যই, এই খেলাগুলো আর একটু আগে থেকে শুরু করেন। শীতকালে খেলাগুলো দিলে উইকেটে হেল্প পাওয়া যায় কিংবা উইকেটে কিছু না থাকলেও পরিবেশটা বোলারদের জন্য কিছুটা অনুকূলে থাকে। গরমকালে একটা বোলার যে পরিশ্রমটা করে শীতকালে আরও বেশি করতে পারবে। ফলে যে বোলাররা গ্রীষ্মকালে ১২০ (কি.মি.) গতিতে বল করে সেই বোলার শীতকালে ১২৫-১৩০ (কি.মি.) গতিতে বল করার চেষ্টা করবে। পুরো শরীটাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে সে। পরিবেশের কারণে বোলারের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। পুরো শরীরটা কাজে লাগিয়ে বোলিং করতে পারছে না কিংবা উইকেটে হেল্প না পাওয়ার কারেণ সে বল করতে পারছে না। তাই ভালো পরিবেশে খেলা হলে পরিবেশটা ভালো হলে একটা বোলার জোরে বল করার চেষ্টা করবে, আস্তে আস্তে সে উন্নতি করবে। বোলিং উইকেট দরকার নেই, একটু স্পোর্টিং হোক অন্তত বাউন্সটা থাকুক। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে ভালো বোলার না পাওয়ার অন্যতম কারণ এই পরিবেশ। স্কিল নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলানিউজ: করোনার কারণে এখন পুরাতন বল চকচকে করতে ঘাম বা থুতু ব্যবহার করা যাবে না। কোকাবুরা মোমের প্রলেপ দিয়ে বিকল্প একটি উপায় বের করেছে। আইসিসি যদি এটা ব্যবহারে অনুমোদন না দেয় তবে বোলাদের জন্য কতটুকু চ্যালেঞ্জিং হবে বল করতে?

সৈয়দ রাসেল: বর্তমান পরিস্থিতিতে বোলারদের জন্য কিছুই রাখেনি তারা (আইসিসি)। এখন যদি উইকেটে  হেল্প না থাকে, বলে সুইং না হয়, বলে যদি থুতু কিংবা ঘাম লাগাতে না দেয়, তাহলে এটা বড় একটা সমস্যা। আসলে মানুষ চায় ঘুরেফিরে বোলারের ওপর চড়াও হতে। চার-ছয় হবে, দর্শক মাঠে আসবে। তবে যদি এরকম পরিস্থিতি হয়, তবে বোলারদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যাবে। বোলারদের কিছুই করার থাকবে না। আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন বল টেম্পারিং কিন্তু হয়, হয়ে আসছে। যখন থেকে খেলা শুরু হয়েছে তখন থেকে হয়। নতুন বলে সর্বোচ্চ ৩-৫ ওভার শাইন (চকচকে) থাকে। এরপর কিন্তু বলটা পুরাতন হতে থাকে। বোলারদেন জন্য কিছুই থাকে না। তো বলে যদি কিছু ব্যবহার করতে না দেয়, তবে সেটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। বলে রিভার সুইং করাতে গেলে বল একপাশ ভারী, একপাশ হালকা করতে হয়, অনেক নিয়মকানুন থাকে। তবে এর বিকল্প হিসেবে তথন বোলারদের বেশি বেশি ব্লক হোলে বল করতে হবে। সুইং বোলিং কমে যাবে, তখন ডেপ্থ বল, ইয়র্কার বল এগুলোতে জোর দিতে হবে।

বাংলানিউজ: জাতীয় দলের আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে?

সৈয়দ রাসেল: জাতীয় দলে আমি যতদিন খেলছি, চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলার। খুব যে ভালো করেছি তাও না আবার খুব খারাপ খেলেছি সেটাও না। অ্যাভারেজ পারফরম্যান্স ছিল আমার। আমি যখন বাদ পড়েছি তখন অনেক প্লেয়ার আছে যে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়েছে। আমার ক্ষেত্রে সেটা আসেনি। আমি পাইনি তাই আক্ষেপ আছে। আরও একটা সুযোগ পেলে ভালো হতো। মানুষ তো দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করে। তবুও যতটুতু খেলেছি আলহামদুলিল্লাহ।  

বাংলানিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ

সৈয়দ রাসেল: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।