ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ইয়র্কার বল করতে আগের মতো আত্মবিশ্বাস পাই না: মোস্তাফিজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
ইয়র্কার বল করতে আগের মতো আত্মবিশ্বাস পাই না: মোস্তাফিজ মোস্তাফিজ-ফাইল ফটো

বাংলাদেশ জাতীয় দলে অনেকটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার যখন অভিষেক হয় তখন টাইগাররা পার করছিল সোনালী সময়। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে তার কাটার দিয়ে একাই ভুগিয়েছেন এই পেসার। তবে ইনজুরির থাবায় পড়ে মোস্তাফিজের সেই ধার এখন আর নেই। মোস্তাফিজ জানান ইয়র্কার দিতে আগের মতো আর অত্মবিশ্বাস পান না।

বুধবার (মার্চ ১৮) মিরপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মোস্তাফিজ। তিনি জানান নিজের বোলিং নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে চান।

তার কোথায় সমস্যা রয়েছে তিনি সেটা নিয়েই কাজ করছেন। তবে ইনজুরির জন্য অপারেশনের কারণেই তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন।

মোস্তাফিজ বলেন, ‘অপারেশনের পরে বেশি অংশে বাইরে খেলা হয়েছে। দেশে খেলা হলে এই উইকেটে গ্রিপ হয় ভালো। বাইরে এরকম আহামরি হয় না। উত্তরটা কীভাবে দেব (হাসি)। আমি দু’একটা জিনিস চেষ্টা করছি। ইয়র্কারটায় আমি আগের মতো কনফিডেন্স পাই না, চেষ্টা করতেছি। কি করলে ভালো হবে। কাটারটা তো আছে, আর কাজ করছি ভেতরে ঢোকানো নিয়ে। ’

টেস্টে মোস্তাফিজ নিয়মিত ভাবে ভালো করতে পারেছেন না। এমকি তার সমস্যাটাও চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সেটা নিয়ে যথেষ্ঠ কাজ করতে হবে তার। মোস্তাফিজ মনে করেন কিছুটা উন্নতি হলেও আরও সতর্ক হতে হবে ।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ভালোই মনে হচ্ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইটা টি-টোয়েন্টি খেললাম, দুইটা ওয়ানডে খেললাম। ওয়ানডেতে ১০ ওভার, টাইম পাওয়া যায়। প্রথম স্পেলে চেষ্টা করেছি বল ভেতরে ঢোকার। বেশি না হলেও দুই-একটা বল কাছাকাছি হয়েছে। আসতেছে... (ভেতরে ঢোকানো)। একদিনে তো হয়  না সব। দুই সপ্তাহ কাজ করছি বল ভেতরে ঢোকানো নিয়ে নতুন কোচের (ওটিস গিবসন) সঙ্গে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় কোন একটা জায়গায় কিছু একটা...(সমস্যা) এখন আবার ভালো যাচ্ছে। ওইভাবে কনফিডেন্স পাচ্ছি না। আরও অনুশীলন করা লাগবে। সব কিছু ঠিক আছে, আমার মনে হয় হাতটা হালকা একটু উন্নতি হয়েছে। ’

মোস্তাফিজের জন্য চিন্তার কারণ হলো যুব দলে এখন বেশ ভালো মানের পেসার রয়েছে। তাই ভালো করতে না পারলে হয়তো্ দলে টিকে থাকা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তার ওপর এই চাপটাও রয়েছে।

এই চাপ নিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমরা তো আজীবন খেলব না। আমি ২০-২১ বছরে মনে হয় ঢুকছি (জাতীয় দলে)। শরিফুলের বয়স যদি লিগ্যাল হিসাব করেন তাহলে ১৯-২০। আরও দু’বছর খেললে সাত বছর হয়ে যাচ্ছে জাতীয় দলে। কিছু তো আসা লাগবে। আসলে ভালো, আমাদের জন্য তো ভালো। আমার কথা হলো ওপরে একটা গোল আছে, এই জায়গাটায় কে থাকবে। যে ভালো করবে সে থাকবে। প্রতিযোগিতা যদি সবাইকে দিয়ে হয় তাহলে সবার জন্য ভালো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
আরএআর/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।