ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ভারতের হাতে ধরাশায়ী শ্রীলংকা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ভারতের হাতে ধরাশায়ী শ্রীলংকা শ্রীলংকার বিপক্ষে শট খেলার পথে কোহলি: ছবি-সংগৃহীত

সিরিজে সমতায় ফেরার জন্য পুনেতে জয় দরকার ছিল শ্রীলংকার। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে উল্টো ব্যাট-বল সব জায়গায় ভারতের হাতে ধরাশায়ী হয়েছে লংকানরা। ৭৮ রানের জয়ে তিন টি-টোয়েন্টিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল। 

এ নিয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে টানা ১২ বছর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ না জেতার ধারা অব্যাহত রাখলো শ্রীলংকা। ভারতের বিপক্ষে লংকানরা সর্বশেষ সিরিজ জিতেছিল ২০০৮ সালে।

এরপর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে দুই দক্ষিণ এশিয়ান মোট সিরিজ খেলেছে ১৯টি। তার মধ্যে ১৭টিতে জিতেছে ভারত। দুই সিরিজ শেষ হয় ড্রয়ে।  

ইন্দোরে ৭ উইকেটের হারের যন্ত্রণা লাঘবের জন্য শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা নিমিষে প্রমাণ করে দেয় ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারী বোলারদের উপর ঝড় বইয়ে দেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও শিখর ধাওয়ান। ফিফটি করে ওপেনিং জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৯৭ রান যোগ করেন তারা।  

শ্রীলংকাকে ব্যাক-থ্রু এনে দেন সান্দাকান। ৩৬ বলে ৫২ রান করে ফেরেন ধাওয়ান। সমান বলে ৫৪ রান করে আউট হোন রাহুলও। তার আগে বিদায় নেন উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসন (৬)। মনীষ পাণ্ডে এক প্রান্তে দাঁড়ালেও সান্দাকানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন শ্রেয়াস আয়ার (৪)।

অবশ্য তাতেও থামেনি ভারতের রানের চাকা। অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও পাণ্ডের ব্যাটে এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হলেও অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ১১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন কোহলি।

এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরকে ডাক উপহার দেন লাহিরু কুমারা। তবে শেষদিকে শার্দুল ঠাকুরের ৮ বলে ২২ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন পাণ্ডে।  

২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলংকা। দলীয় ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর বিপর্যয় ঠেকাতে চেষ্টা করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট। কিন্তু তা কেবল বড় রানে হারের ব্যবধানটা কমিয়েছে। ম্যাথিউস ৩১ ও সিলভা ৫৭ রানে বিদায় নেওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লংকানরা। ১৫.৫ ওভারে মাত্র ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।

এই পরাজয়ে অধিনায়ক হিসেবে একটি রেকর্ডও করেছেন মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে কম জয় পেয়েছেন তিনি। তার অধীনে লংকানরা ২২ ম্যাচে হেরেছে। জয় পেয়েছে মাত্র ৮ ম্যাচে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।