ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

বসুন্ধরা কিংসের সাফল্যে আমি খুব গর্বিত: ইমরুল হাসান

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
বসুন্ধরা কিংসের সাফল্যে আমি খুব গর্বিত: ইমরুল হাসান সাংবাদিকদের সঙ্গে বলছেন ইমরুল হাসান: ছবি-শোয়েব মিথুন

এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। গত আসরে বসুন্ধরা কিংসের পাফরম্যান্স ছিলো এমনই। দেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে প্রথম মৌসুমে দুটি শিরোপা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলো বসুন্ধরা। পুরো মৌসুম জুড়েই দর্শকদের দারুণ উপভোগ্য পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। দেশের ফুটবলে হয়ে উঠেছিলো অপ্রতিরোধ্য একটি দল।

গত মৌসুম যেখানে থেকে শেষ করেছিলো এবারের মৌসুমটা ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করেছে বসুন্ধরা কিংস। রহমতগঞ্জকে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়ে মৌসুমের শুভ সূচনা করেছে দেশের ফুটবলের বড় পরাশক্তি বসুন্ধরা কিংস।

ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে বসুন্ধরা। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ ও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিলো বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তির ক্লাবটি। বাকি ছিলো শুধু ফেডারেশন কাপ। এবারের ফেডারেশন কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলের সবগুলো টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে বসুন্ধরা। এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে আগামী এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত করলো তারা।  

দলের এমন পারফম্যান্সে বেশ উচ্ছোসিত বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে দলকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট বেশ আনন্দও প্রকাশ করেন।  

ছবি: শোয়েব মিথুনইমরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের অঢেল পরিশ্রমের কারণে আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। এজন্য আমি সর্ব শক্তিমান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং এর মূল কারিগর যারা, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক পক্ষের সোবহান সাহেবেরই। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের নিরন্তর সহোযোগিতা, সাহায্য ও অনুপ্রেরণা না পেলে আমরা কাজ করার উৎসাহ পেতাম না এবং এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না। সুতরাং আমি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক পক্ষ সোবহান ভাইয়ের প্রতি সর্বাত্মক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, নতুন দল হিসেবে চারটি টুর্নামেন্ট খেলে তিনটিতে চ্যাম্পিয়ন আর একটি রানার্স আপ হওয়া। এটা আমাদের জন্য এক বিশাল অর্জন বলে আমি মনে করি। ’

বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক দেনিয়েল কলিন্দ্রস ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, দলের সবার চেষ্টাতেই এমন সাফল্য এসেছে। কলিন্দ্রেস বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত দলের এমন সাফল্যে। পুরো দলের কৃতিত্ব এটি। গত বছর এই শিরোপাটা জিততে পারিনি। এবার জিতলাম।  আমি বসুন্ধরা কিংসে খেলতে পেরে অত্যন্ত খুশি। লিগ শুরুর আগে এই শিরোপা জয় আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং এএফসি কাপেও আমরা  আশা করি ভালো করবো। তবে এই কৃতিত্বটা আমি একা নেবো না। পুরো দল, সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট সবারই। ’ 

ছবি: শোয়েব মিথুনবসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজেনও মনে করেন এই সাফল্য দলগত পারফরম্যান্সের কারণে হয়েছে। ব্রুজেন বলেন, ‘গতবার শিরোপা মিস করেছিলাম আবাহনীর কাছে হেরে। এবার সেটা পেরেছি। আমার মনে হয়, আমরা যে ভুলগুলা করেছিলাম সেটা করিনি এবার। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে একটা ভুল করেছিলাম পরে সেটা পুষিয়ে দিয়েছি। তাই শিরোপা জিততে পেরেছি। ’ 

দেশের মৃত প্রায় ফুটবলে নতুন করে জীবন ফিরিয়ে এনেছে বসুন্ধরা কিংস। ঢাকা আবাহনীর একক আধিপত্য ছাপিয়ে নতুন এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে দলটি। এবার দেখার অপেক্ষা, ফুটবলের এই নতুন গণজাগরণ বসুন্ধরা কিংস আরও বেশি উজ্জ্বল করতে পারে কিনা। তবে ক্লাবের সাফল্যই বলে দেয় যে, বসুন্ধরা কিংস দেশের ফুটবলে রাজত্ব করতেই এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
আরএআর/ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।