ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

স্পোর্টিং উইকেটে পেসাররা পাবে বাড়তি সুবিধা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
স্পোর্টিং উইকেটে পেসাররা পাবে বাড়তি সুবিধা ইন্দোরে পেসারদের জন্য থাকবে বাড়তি সুবিধা

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আগামী ১৪ নভেম্বর মাঠে নামবে বাংলাদেশ-ভারত। ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামবে দুই দল। এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত একটি টেস্ট ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইন্দোরের এই স্টেডিয়ামে নেমেছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড। ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বিরাট কোহলির ভারত।

আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে বোলারদের তালিকায় ২৫ জনের ছয়জনই ভারতীয়। চার নম্বরে আছেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।

দশে আছেন স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন, ১৪’তে রবীন্দ্র জাদেজা, ১৫’তে মোহাম্মদ শামি। ২২ নম্বরে পেসার ইশান্ত শর্মা আর ২৪ নম্বরে আছেন আরেক পেসার উমেস যাদব।

এই ছয় বোলারই আছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। কঠিন এক চ্যালেঞ্জই নিতে হবে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। বোলারদের ওই তালিকায় বাংলাদেশের তিন জন আছেন শীর্ষ ২৫-এ। ২০ নম্বরে সাকিব, ২৩ নম্বরে তাইজুল আর ২৫ নম্বরে মিরাজ। সাকিবের এই সিরিজে খেলা হচ্ছে না।

গত চার বছরে হোম সিরিজ ভারতীয় পেসারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পেসারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই তাদের উইকেট দেওয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালো করেছিল। ভারতীয় পেসাররা সুবিধা পেলে সেখানে বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। টিম বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি আর এবাদত হোসেনরা।

ঘরোয়া ক্রিকেট রঞ্জি ট্রফিতে সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেট দেওয়া হলেও মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কিউরেটর সামান্দার সিং চৌহান গত চার বছর ধরে তৈরি করেছেন লাল মাটির উইকেট। ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, লাল মাটির উইকেট পেসারদের জন্য সত্যিকারের স্বর্গরাজ্য। এই উইকেটে নিমিষেই পেসাররা অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নিতে পারেন। ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতে পেসারদের সহায়তা করে লাল মাটির উইকেট। তবে, স্ট্রোকমেকার ব্যাটসম্যানদের জন্যও এই উইকেট যথেষ্ট সহায়তা করবে। স্পিনাররা চাইলেই বাড়তি সুবিধা পাবে এই উইকেটে। লাল মাটির উইকেটকে বলা হচ্ছে পুরোপুরি স্পোর্টিং উইকেট।

গতবার রঞ্জির ফাইনালে বিদর্ভ আর দিল্লি মুখোমুখি হয়েছিল এই স্পোর্টিং উইকেটে। সেই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ব্যাটসম্যানরা সাতটি ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের রঞ্জির ফাইনালে মুখোমুখি হয় গুজরাট আর মুম্বাই। স্পোর্টিং এই উইকেটে চারদিনের ম্যাচের শেষ সেশনে খেলা গড়িয়েছিল।

ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, টিম ইন্ডিয়ার বিশেষ অনুরোধ ছিল ইন্দোরের উইকেট তাদের মতো করে তৈরির। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সেই অনুরোধ রাখেনি। ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, এই স্পোর্টিং উইকেটে মূলত লড়াই হবে স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ আর পেস নির্ভর ভারতের বোলারদের। প্রধান কিউরেটর সামান্দার সিং চৌহান জানালেন, ‘দুই দলের সমান সুযোগ থাকবে। তবে, যতই দিন যাবে উইকেট আরও শক্ত হবে। ’

উল্লেখ্য, হোম সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতীয় পেসাররা নিয়েছেন ২৬ উইকেট, যেখানে ভারতীয় স্পিনাররা তুলে নিয়েছেন ৩৪ উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।