ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিসিবি কর্তাদের জবাব দিলেন শাহরিয়ার নাফিস

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১
বিসিবি কর্তাদের জবাব দিলেন শাহরিয়ার নাফিস

ঢাকা: শাহরিয়ার নাফিসের জাতীয় দলে খেলা সুতোর ওপরে ঝুলছিলো। তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীলনকশা তৈরি করে ফেলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র নিতিনির্ধারকরা।

তার পরিবর্তে তরুণ ব্যাটসম্যান মমিনুল হক সৌরভকে দলে নেওয়ার জন্য নির্বাচকদের ওপরে চাপও প্রয়োগ করছিলেন বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে শাহরিয়ার নাফিস বিসিবি কর্মকর্তাদের জবাবটা ভালোই দিলেন। শনিবার প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার নাফিস তার ইনিংস সম্পর্কে বলছিলেন।

প্রশ্ন: অন্য সময়ের চেয়ে আজ আপনাকে ব্যাটিংয়ে অনেক নির্ভার মনে হচ্ছিলো। এর পেছনে কোন কারণ আছে?

শাহরিয়ার নাফিস: সর্বশেষ টেস্টের পর যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, পরিবারের সদস্য, সাবেক ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজম্যান্ট, সতীর্থ এমনকি সাংবাদিক সবাই বলেছেন আমার ব্যাটিংয়ে নাকি খুব তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই ভেবেছি, আর যাই হোক তাড়াহুড়া করব না। আরেকটি ব্যাপার ভেবেছি, বাজেভাবে আউট হব না। আউট হতেই পারি, তবে এমনভাবে আউট হব না সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যেন কেউ বলতে না পারে, টেস্ট ক্রিকেটে এমনভাবে কেন আউট হল।

প্রশ্ন: পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিপক্ষে আপনাদের লম্বা ইনিংস সম্পর্কে বলবেন?

শাহরিয়ার নাফিস: এটি ছিলো দারুণ অভিজ্ঞতা। এই মুহূর্তে পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণ বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ তো আছেই। সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিং করাটাও দারুণ ব্যাপার। কন্ডিশন ব্যাটিং সহায়ক ছিলো না, দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলামÑ এমন সময় ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জটা খুব উপভোগ করেছি। আর এমন কন্ডিশন, পরিস্থিতিতে এমন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করে অনেক কিছু শিখেছিও।

প্রশ্ন: চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাকিবের সঙ্গে খেলতে কতটা স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিলো?

শাহরিয়ার নাফিস: দলের জন্য এই জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সাকিব যখন ক্রিজে আসে, দলের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। এমন অবস্থা থেকে অতো বড় জুটি গড়াটা ছিলো দারুণ ব্যাপার। আর সাকিব তো বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে ব্যাটিং করাটা.... ও খুবই আত্মবিশ্বাসী একজন ব্যাটসম্যান। ক্রিজে গিয়ে সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখে। পরিস্থিতিটা ঠান্ডা করে নিতে পারে। ও একপাশ থেকে ভালো ব্যাটিং করায় আমার জন্য পরিস্থিতি সহজ হয়ে গিয়েছিলো। আর-ও স্পিন খুব ভালো খেলে। আমরা পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছিলাম। যদিও সাকিব আর আমার স্পিন খেলার টেকনিক পুরো আলাদা। জুটিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল্,ে যা আমাদের ব্যাটিংটা সহজ করে দিয়েছেÑআমরা প্রচুর সিঙ্গেল নিয়েছি। এ কারণে পরিস্থিতিটাকে আমাদের কাছে কখনোই খুব একটা চাপ বলে মনে হয়নি।

প্রশ্ন: শতক মিস করায় আফসোস হচ্ছে না?
 
শাহরিয়ার নাফিস: ৯৭ রানে আউট হওয়ায় আফসোস তো হবেই। তবে এমনও তো হতে পারত ১০ রানে আউট হয়ে গেলাম। সে কারণে আবার ৯৭ রান করার আমি খুশি।


প্রশ্ন: শতকের কাছাকাছি গিয়ে টেনশন হচ্ছিলো কি?

শাহরিয়ার নাফিস: সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে কোন টেনশন কাজ করেনি। বুঝতে পারছিলাম যে, ফাস্ট বোলাররা আমাকে বাউন্সারই দেবে। ফার্স্ট সেশনের পর থেকে ওরা আমাকে সারাক্ষণ বাউন্সারই মারছিলো। কিন্তু বলটি এতো ভালো জায়গায় পড়ল যে, ছাড়তে পারিনি। গ্লাভসে লেগে যায়। বাজেভাবে আউট হলে আফসোস বেশি লাগত। ভালো বলে আউট হয়েছি তো। কিছু করার নেই।

প্রশ্ন: আর কত রান হলে নিরাপদ থাকবে বাংলাদেশ?

শাহরিয়ার নাফিস: দল এখন কিছুটা স্টেবল পজিশনে আছে। এখনো উইকেটে সাকিব-মুশফিক আছে। আমরা আশা করি ওরা ভালো ব্যাটিং করে আরেকটি বড় জুটি গড়বে। তাহলে বড় স্কোর গড়ে বোলারদের ১০ উইকেট নেবার একটা সুযোগ দিতে পারব। এখনো আরো অনেক দূর যেতে হবে। কাল যদি অন্তত দেড় থেকে দুই সেশন ব্যাটিং করতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।