ঢাকা: অবশেষে সিলেট বিকেএসপি বুঝে পাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফুটবল অ্যাকাডেমি পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদে বাফুফেকে সিলেট বিকেএসপি হস্তান্তর করবে বিকেএসপির বোর্ড অব গভর্নর।
সিলেট শহরের উপকণ্ঠে খাদিম নগরে প্রায় ১৩ একর জায়গা জুড়ে সিলেট বিকেএসপি অবস্থিত। দেশে বিকেএসপির যে চারটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সিলেটের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। ২০১০ সালে ফেডারেশন সিলেটে একটি ফুটবল একাডেমির গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলে তিনি সম্মতি দেন। বিকেএসপি বোর্ড অব গভর্নরস দ্বারা সিলেট বিকেএসপি বাফুফের কাছে হস্তান্তরের অনুমোদন দিতে সময় লেগে যায়। বিভিন্ন বিষয়ে বাফুফে ও বিকেএসপির পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে মতপার্থক্যের অবসান হয় চলতি বছরের অক্টোবরে।
বাফুফে সূত্র জানায়, সিলেটে একাডেমি পরিচালনা করতে মাসিক পঞ্চাশ হাজার টাকা বিকেএসপি কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে বাফুফেকে। চুক্তি অনুযায়ী বিকেএসপির কোন অবকাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে না বাফুফে। তবে মাঠের সংস্কার বা উন্নয়ন কাজ করতে পারবে।
সিলেট বিকেএসপির বর্তমান অবকাঠামোর মধ্যে একটি প্রশাসনিক ভবন, অফিসার্স কোয়ার্টার, স্টাফ কোয়ার্টার, দুটি ফুটবল মাঠ, গাড়ী পার্কিং, টেনিস কোর্ট, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুলসহ অ্যাকামেডি পরিচালনাার প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়া ক্রীড়াবিদদের আবাসিক সুবিধার জন্য ৪২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি হোস্টেলও রয়েছে।
দেশের প্রথম ফুটবল অ্যাকাডেমি পরিচালনার জন্য প্রাথমিক প্রস্তাব ছিলো বেক্সিমকো গ্রুপের। এজন্য বছরে তিন কোটি টাকা পরিচালনা ব্যয় ধরে আট বছরে ২৪ কোটি টাকা বাফুফেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা পিছিয়ে গেছে বলে জানায় বাফুফে। তাই নিজস্ব উদ্যোগেই প্রকল্প এগিয়ে নিতে চাইছে ফেডারেশন।
এ মাসের শুরুতে ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটারের সঙ্গে বৈঠককালে ফুটবল অ্যাকাডেমি বিষয়ে ফিফার সাহায্য চান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও পান বাফুফে সভাপতি। অ্যাকাডেমির জন্য টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, কোচিং স্টাফ ও একটি আধুনিক জিমনেশিয়ামের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পান সালাউদ্দিন। আগামী এপ্রিলে ফিফা সভাপতি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাকে দিয়েই অ্যাকাডেমি উদ্বোধন করানোর পরিকল্পনা রয়েছেন বাফুফের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১