ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

‘আইডল’ মুশফিকের দেখা পেলেন ঋদ্ধি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
‘আইডল’ মুশফিকের দেখা পেলেন ঋদ্ধি ‘আইডল’ মুশফিকের দেখা পেলেন ঋদ্ধি

২০১৬ সালের বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে স্বাগতিক ভারতের বিদায়ের পর উল্লাস প্রকাশ করে ভারতীয়দের চক্ষুশূল হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেই মুশফিকই দিল্লি শাসন করে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগারদের জয় পাইয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে এখন রাজকোটে অবস্থান করছে। সেখানে হালকা অনুশীলন করেছে টাইগাররা।

আগামী বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। সে লক্ষ্যে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজকোটে পৌঁছলেও পুরোপুরি অনুশীলনে নামেনি বাংলাদেশ দল।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সৌরাষ্ট্রে প্রথম দিনের হালকা অনুশীলনের পর ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক।

মুশফিকের এক ভক্ত তার সঙ্গে দেখা করতে পুরো দল নিয়ে হাজির হন স্টেডিয়ামে। মুশফিকের সান্নিধ্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় নারী ক্রিকেটার ঋদ্ধি রুপারেল। সেখানে টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডারের স্তম্ভ মুশফিকের দেখা পেয়ে কথা বলেছেন, পরামর্শ নিয়েছেন। ছবি তুলতেও ভুলেননি। ভারতীয় এই তরুণীর মুশফিক প্রীতি দেখে তাকে ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয় সংবাদমাধ্যমের। এ সময় ঋদ্ধি জানান, ‍অনেক আগে থেকেই মুশফিক তার ‘আইডল’।

মুশফিকের দেখা পাওয়ার জন্য স্টেডিয়ামে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন সৌরাষ্ট্র নারী ক্রিকেট দলের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋদ্ধি রুপারেল। এই দলটির ক্যাপ্টেনও তিনি। অনুশীলনের ফাঁকে মুশফিক যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন বলে-কয়ে টাইগারদের এই সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান ঋদ্ধি।
 
এ সময় ঋদ্ধি জানান, ‘আমি আরও দুই বছর আগে থেকে মুশফিককে অনুসরণ করি। কিছুদিন আগে আমি বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, তখন মুশফিক এবং সাকিবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ খুঁজেছি। কিন্তু তখন তারা অন্য একটা টুর্নামেন্টে খেলতে ব্যস্ত ছিলেন। তখন মুশফিক-সাকিবের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আমি সে সময় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। ’

দিল্লিতে মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এ ব্যাপারে ঋদ্ধি জানান, ‘আমি মুশফিককে আদর্শ মনে করি। কারণ আমিও তার মতো উইকেটকিপার এবং টপঅর্ডার ব্যাটার। তাই তিনি যেভাবে সেদিন ব্যাট করছিলেন আমি অনুভব করতে পারছিলাম। শুরুতে তিনি কিছুটা সময় নিয়েছিলেন, কিন্তু পরে হুট করেই ম্যাচের পথ ঘুরিয়ে দেন। যেমন সেদিন তার ক্যাচ পড়ার পরও তার ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা ইতিবাচক ছিল। তিনি হয়তো মনে মনে বলছিলেন নিজের দলকে যে করেই হোক জেতাতে হবে। ক্যাচটা পড়ার পরে চারটা বাউন্ডারি মেরে উনি যেভাবে খেলা শেষ করেছেন, তা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের জন্য স্বপ্নের মতো। এসবের কারণেই তিনি আমার আদর্শ, আমিও তার মতো খেলতে চাই। ’

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাকিব-তামিমের পর দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন মুশফিক। আর তার হাত ধরেই আসে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়। খেলেন ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত অন্যবদ্য এক ইনিংম। বাংলাদেশ জয় পায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। টাইগাররা সিরিজে এগিয়ে ১-০ তে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।