ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

মেসির সঙ্গে ‘আবার’ খেলতে চান রিকুয়েলমে

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
মেসির সঙ্গে ‘আবার’ খেলতে চান রিকুয়েলমে মেসি ও রিকুয়েলমে যখন সতীর্থ ছিলেন/ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মধ্যে হুয়ান রোমান রিকুয়েলমেকে বলা হতো ‘নতুন ম্যারাডোনা’। ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে তিনি মাঠ মাতিয়েছেন বার্সেলোনা, ভিয়ারিয়াল ও বোকা জুনিয়র্সের মতো ক্লাবের হয়ে। একসময় আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় ভরসা ২০১৫ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার পর এবার ফের একবার মাঠে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এজন্য তার পাশে মেসিকে চান তিনি।

আগামী ১২ ডিসেম্বর আরও একবার বিদায়ী ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন রিকুয়েলমে, যেখানে তার সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে ২০০০ ও ২০০৭ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী বোকা জুনিয়র্সের খেলোয়াড়দের। মেসিকেও এই ম্যাচে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে সম্ভবত মেসির পক্ষে এই ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়, কারণ, কাছাকাছি সময়ে লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।

এদিকে ‘বিদায়ী’ ম্যাচটি পিছিয়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বরে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন রিকুয়েলমে। আর এমনটা সম্ভব হলে মেসিসহ অন্য আন্তর্জাতিক তারকারাও খেলতে পারবেন। এ নিয়ে রিকুয়েলমে বলেন, ‘মেসি আমাকে এমন সময় খেলতে বলেছে যখন (বার্সার হয়ে) তার খেলা থাকবে না। এটা হবে অবিশ্বাস্য। মেসিকে বোকার জার্সিতে দেখা স্বপ্নের মতোই মনে হবে। ’

এদিকে মেসি নিজেও ম্যাচটি খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে যদি সময় ও সুযোগ মিলে যায় তাহলে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘রোমানের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়। (ম্যাচের) তারিখের কথা যদি বলেন, আমি জানি না তিনি কবে এটা করতে চান। কিন্তু যদি আমি আর্জেন্টিনায় থাকি এবং যাওয়ার অবস্থায় থাকি, আমি খুশি মনে খেলতে যাব। ’ 

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মেসির কারণেই রিকুয়েলমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আগেভাগেই শেষ হয়ে যায়। আর্জেন্টিনার হয়ে ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কিন্তু একই জার্সি যখন মেসিকে দেওয়া হলো তিনি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়ালেন। পরে একই কারণে তাকে ২০১০ বিশ্বকাপের দলেও রাখেননি তৎকালীন কোচ দিয়েগো ম্যারাডোনা।  

প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে রিকুয়েলমে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ৫টি লিগ শিরোপা, ৩টি কোপা লিবার্তাদোস, ভিয়ারিয়ালের হয়ে ২টি ইন্টারটো কাপ জেতেন। এছাড়া ৪বার আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর তিনি ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৫১ ম্যাচে গোল করেছেন ১৭টি। ক্লাব ফুটবলে ৪২৪ ম্যাচে তার গোল ১০৩টি। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের দলেও ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।