ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১১
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের

ঢাকা: বিজয় দিবসে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন? একজন তরুণ সাংবাদিকের মুখে প্রশ্নটি শুনে কিছুটা বিব্রত হলেন মিসবাহ উল হক। আমতা আমতা করছিলেন।

পাশ থেকে দলের সহযোগী ব্যবস্থাপক নওশাদ আলীর হস্তক্ষেপে পরিবেশ হালকা হয়,‘এখানে ক্রিকেট নিয়ে বললে ভালো হয়’। অবাক কা- ওই নওশেদ আলী-ই কি না সংবাদ সম্মেলনের শেষমুহূর্তে অভিনন্দন জানালেন,‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে এবং পুরো জাতিকে অভিনন্দন’।

পাকিস্তানের একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জান্তার মুখে কথাগুলো শোনার পর অনেকেরই বিশ্বাস হচ্ছিলো না। একজন জানতেও চাইলেন, কিসের অভিনন্দন, পরিষ্কার হলো না তো। পাকিস্তানের কোচ, অধিনায়ক এবং সহযোগী ব্যবস্থাপক ততক্ষণে চলে গেছেন। থাকলে হয়তো পাল্টা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ এবং ক্রিকেট দলকে তিনি যে বিজয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়েছেন বুঝতে বাকি থাকলো না।

অপসরপ্রাপ্ত এই কর্নেল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রেসক্রসের ময়দানে ছিলেন কি না জানা নেই। ক্রিকেট দলের সঙ্গে থাকায় তাকে প্রশ্নটা করাও হয়নি। এসব আলোচনা পাড়তে যে ধরনের ঘনিষ্ঠতা দরকার হয়, তাও নওশাদ আলীর সঙ্গে গড়ে উঠেনি। তারপরেও পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি যে বাংলাদেশের মানুষকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন দিলেন সেটাও কম নয়।

যদিও পাকিস্তান থেকে আগত জিও টিভির একজন সাংবাদিক শঙ্কা প্রকাশ করছেন, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারক মহলে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ওসব নিয়ে ভাবার সময় নেই বাংলাদেশের মানুষের। ১৯৭১ সালে এই দেশের মানুষের ওপর তাদের সামরিক সরকার অবৈধ ভাবে যে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিলো, তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করলে হয়তো আরও ভালো করতেন।

দাতমুখ খিচে একটি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন মাত্র। সেই নৃশংসতার কাছে এতো খুব সামান্যই। ক্রিকেট মাঠের তাজাপ্রাণ শহীদ জুয়েলকে তো যুদ্ধের ময়দানেই নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো পাক হানাদার বাহিনী। যে স্টেডিয়ামে শনিবার থেকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দল, সেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি গ্যালরি শহীদ জুয়েলের নামে। আজাদ বয়েজের একজন ক্রিকেট কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদকেও হত্যা করেছিলো হানাদার বাহিনী। পকিস্তান ক্রিকেট দল যে ভিউইং অঞ্চলে খেলার সময় বসেন তার পাশের গ্যালারিটি শহীদ মুস্তাক স্ট্যান্ড। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে ১৬ ডিসেম্বরের প্রেরণা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কিঞ্চিৎ হলেও থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।