ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

জামাল ভূঁইয়াদের ‘দুর্ঘটনা’র নেপথ্যে এক মেসেজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
জামাল ভূঁইয়াদের ‘দুর্ঘটনা’র নেপথ্যে এক মেসেজ

মোহনবাগানের বিপক্ষে হেরেও ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারে নেমে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মারুফুল হকের দল ১-০ গোলে হেরেছে কিবু ভিকুনার শিষ্যদের বিপক্ষে।

তবে তাতেও কোনো ক্ষতি নেই জামাল ভূঁইয়াদের। অন্যদিকে লাভ হয়েছে মোহনবাগানের।

গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা ওঠে গেছে শেষ চারে। কিন্তু কপাল পুড়েছে লাওসের ইয়ং এলিফেন্টসের।  অথচ এলিফেন্টরা শেষ চারে যাওয়ার পথটা মসৃণ করে রেখেছিলেন গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের ক্লাব টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতে।  

কিন্তু দুই জয়ে সমান ৬ পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছেন গ্রুপ পর্ব থেকে।

শেষ চার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনী মাঠে নেমেছিল জামাল ভূঁইয়া, চিনেডো ম্যাথিউসহ ছয় তারকাকে বেঞ্চে রেখেই। কোচ মারুফের দল মোহনবাগানের বিপক্ষে খেলেওছিল চমৎকার। কিন্তু ৬০ মিনিটে গোল হজম করে বসে তারা। এরপর জামাল-ম্যাথিউরা নামলেও সমতায় ফিরতে পারেনি বন্দরনগরীর দলটি।

ছবি: উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজচট্টগ্রাম আবাহনীর এই ‘দুর্ঘটনা’র পেছনে লুকিয়ে আছে একটি ‘মেসেজ’। ৫৫ মিনিটে একটি মেসেজ পান কোচ মারুফ। মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির এক কর্মকর্তার কাছ থেকে।  

সেই মেসেজে জানানো হয়, সেমিতে যেতে হলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে জিততেই হবে। কিন্তু কোচ মারুফ নিশ্চিত ছিলেন হারলেও তারা সেমিতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই মেসেজ পাওয়ার পর নড়েচড়ে ওঠেন চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা।  

তখনই তাদের কৌশলে গোলমাল হয়ে যায়। ৫৭ মিনিটে জয়ের জন্য অস্থির হয়ে কোচ মারুফ মাঠে নামান মিডফিল্ডার ম্যাথিউকে। এর তিন মিনিট পরেই গোল হজম করে তার দল। এরপরের মিনিটে মাঠে নামেন অধিনায়ক জামাল। তাতেও হার এড়াতে পারেনি তার দল।  

অবশ্য মেসেজটি কেবল ‍উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাদের। সেমিতে যাওয়া রুখতে পারেনি। কোচ মারুফ ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় বুঝতে পারেন মেসেজটির কোনো সত্যতা নেই। ব্যাপারটি তিনি খোলাসা করেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে।  

কোচ মারুফ বলেন, ‘৫৫ মিনিটে পাওয়া টুর্নামেন্ট কমিটির এক কর্মকর্তা আমাকে মেসেজ করেন। সেই মেসেজে লেখা, সেমিতে যেতে হলে আমাদের জিততে হবে। তখন উদ্বেগ ভর করে সবার। কৌশলে মনোযোগ হারিয়ে ফেলে সবাই। তার আগ পযর্ন্ত সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল। এরপরেই ম্যাথিউ ও জামালকে মাঠে নামাই। তবে ৮০ মিনিটে পরিষ্কার হয়, মেসেজটি ভুল ছিল। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
ইউবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।