ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

ইয়ংদের হারিয়ে সেমির পথে চট্টগ্রাম আবাহনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ইয়ংদের হারিয়ে সেমির পথে চট্টগ্রাম আবাহনী ইয়ংদের হারিয়ে সেমির পথে চট্টগ্রাম আবাহনী।ছবি: সোহেল সরওযার

শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামা স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের খেলা দেখতে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসেছিল হাজার হাজার দর্শক। শেষ পযর্ন্ত ঘরের সমর্থকদের নিরাশ করেনিন জামাল ভূঁইয়ারা। চিনেডো ম্যাথিউর জোড়া গোলে লাওসের ক্লাব ইয়ং এলিফেন্টসকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো চট্টগ্রাম আবাহনী। পরের ম্যাচে ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে ড্র করলেই শেষ চারে উঠে যাবে কোচ মারুফুল হকের দল।

শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম আবাহনী। তৃতীয় মিনিটে জামাল ভূঁইয়া ত্রাস ছড়ান এলিফেন্টস শিবিরে।

এর দুই মিনিট পরেই রহমত মিয়ার ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেড নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। তবে সেই যাত্রায় ইয়ংদের জাল অক্ষত রাখেন তাদের গোলরক্ষক সোলাসেক থিলাভং। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা স্বাগতিকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি গোলের জন্য।

নবম মিনিটে ইয়ংয়ের ডি-বক্সের জটলার ভেতর থেকে চিনেডো ম্যাথিউকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান ফরোয়ার্ড রটকোভিচ লুকা। ম্যাথিউ বল দুর্দান্ত শটে বল জড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে। গোল হজম করে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে এলিফেন্টসরা। এর আগেও মোহনবাগানের বিপক্ষে প্রথমে গোল হজমের পর উল্টো দুই গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল সালভারাজসো ভেংদাসালাম। এবারও বিরতিতে যাওয়ার আগেই আবাহনীকে দুই গোল দিয়ে বসে তারা। দশম মিনিটে বোনপাচান বংকংয়ের শট গোলপোস্ট রুখে দেওয়ায় বেঁচে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। তবে গোল শোধের জন্য বেশিক্ষণ সময় নেয়নি এলিফেন্টসরা। ১৩ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় তারা। আফিজে থানাকান্তির মাপা শট ডান দিকে লাফ দিয়েও রুখতে পারেননি আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল।

গোল হজম করে বেশ আগ্রাসী হয়ে ওঠে মারুফুল হকের দল। ২৩ মিনিটে ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন জামাল। কিন্তু অধিনায়কের শট লাফিয়ে পড়ে গ্লাভসবন্দী করেন গোলরক্ষক সোলাসেক। ৩৩ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ভুলে উল্টো দ্বিতীয় গোল হজম করে বসে চট্টগ্রাম আবাহনী। ডি-বক্সের ভেতর সতীর্থকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়িয়েছিলেন ইকবল জন। কিন্তু সেই বল পেয়ে যান সোমজে কিওহানাম। দ্রুত ইয়ং ফরোয়ার্ড বল জড়িয়ে দেন জালে।

পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। ৩৮ মিনিটে জামালের আরেকটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশা বাড়ে তাদের। বিরতিতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত আক্রমণ শানায় মারুফুল হকের শিষ্যরা। কিন্তু ফিনিশাররা রাস্তা খুঁজে পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় আবাহনী। ৫৪ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত সফলতা। ইয়াসিন আরাফাতের ক্রস থেকে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান মন্টেনিগ্রো ফরোয়ার্ড লুকা রটকোভিচ। এরপর ৭১ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইন থেকে ইয়ংয়ের ডি-বক্সের জটলার ভেতর বল পায় জামাল। বাঁ-পায়ের দারুণ শটে আবাহনীকে লিড এনে দেন তিনি।

উজ্জীবিত আবাহনী এরপর কেবল আক্রমণ চালিয়েছে একের পর এক। ৭৭ মিনিটে কর্নার কিক নেন অনবদ্য খেলতে থাকা জামাল ভুঁইয়া। তার মাপা শটে শট নিয়ে জোড়া গোল পূরণ করেন চিনেডো ম্যাথিউ। এই নিয়ে আসরে চতুর্থ গোলের দেখা পেলেন তিনি। এর আগে টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ম্যাথিউ।

‘বি’ গ্রুপে টানা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে মোহনবাগান ও ইয়ং এলিফেন্টসের পয়েন্ট ৩। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস কোনো পয়েন্ট পায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।