ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

পদত্যাগ করবেন না কোয়াবের দুর্জয়-সুজন

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
পদত্যাগ করবেন না কোয়াবের দুর্জয়-সুজন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নাইমুল হাসান দুর্জয়

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রথম দাবি ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর কমিটির পদত্যাগ। অর্থাৎ, দাবি অনুযায়ী সরে দাঁড়াতে হবে সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়, সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালদের। তবে ক্রিকেটারদের তোপের মুখেও পদত্যাগ করবেন না জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমি কোয়াবের জন্য নিজের পকেটের টাকাও খরচ করেছি। এখন দায়িত্ব ছাড়তে হলে ছাড়বো।

 কোয়াব বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠন করা একটি সংগঠন।  তাই বললেই তো আর পদত্যাগ করা যায় না। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সব হতে হবে। নির্বাচন করে যদি বর্তমান খেলোয়াড়রা চায় নতুন নেতৃত্ব আসবে, তবে সেটি হতে পারে কিংবা চাইলে আমাদেরও রাখতে পারে। ’

কোয়াব গঠন হয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় আগে। তবে গঠনের পর থেকে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্রিকেটারদের নিয়ে তেমনভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি তাদের। সেজন্যই বর্তমান ক্রিকেটাররা তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। দাবিটি ছিল ১১ দাবির মধ্যে প্রথম। আর এজন্যই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন কোয়াবের সভাপতি দুর্জয়। তিনি আবার একই সঙ্গে বোর্ডের পরিচালকও।

এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘ফিকা’। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। আর এসব দাবি না মানা হলে এখন থেকে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিল ফিকা।

ফিকা’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিকা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান টনি আইরিশ বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটারদের হিসেবে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে একজোট হওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসা করছে ফিকা। বাংলাদেশে খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও এটা সম্ভব হয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের খেলোয়াড়দের যেভাবে দেখা হয় তা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে। ’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটাও এখন পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তাদের ক্যারিয়ার এবং জীবিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে স্বস্তি বোধ করেন না। তাদের এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় না বলেই মনে করেন তারা। খেলোয়াড়দের সংগঠনের দায়িত্ব হলো তাদের সমষ্ঠিগত সমস্যার কথা তুলে ধরা। এবং চিন্তার বিষয় এই যে, ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) খেলোয়াড়দের প্রয়োজনের মুহূর্তে তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করতে পারছে না। আরও বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, কোয়াবের পদধারীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদেও আছেন। ’

‘ইস্যুগুলো পর্যালোচনা করার পর আমরা মনে করছি, এই সময়ে খেলোয়াড়দের সমর্থন ও সহায়তা করা ফিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ’

চলতি মাসের শুরুর দিকে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফিকা’র বার্ষিক মিটিংয়ে সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ফিকা’র সদস্যপদ  পাওয়ার পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী, সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা এবং বোর্ড থেকে পুরোপুরি স্বাধীন একটি সংগঠন গড়ার প্রতি নজর দেওয়া হবে। এসব পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কোয়াবের সদস্যপদ পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ, বর্তমান কমিটি নিয়ে শিগগিরই নতুন ঘোষণা দিতে পারে ফিকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।