ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

কোচ হয়ে আর্জেন্টিনায় ফিরলেন ম্যারাডোনা 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯
কোচ হয়ে আর্জেন্টিনায় ফিরলেন ম্যারাডোনা  জিমেনেশিয়ার ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে ম্যারাডোনা: ছবি-সংগৃহীত

খেলোয়াড়ি জীবনের মতো কোচিং ক্যারিযারও নানা অভিজ্ঞতায় ভরা ডিয়েগো ম্যারাডোনার। কোচ হয়ে তিনি নিজ দেশ আর্জেন্টিনা থেকে দুবাই, বেলারুশ, মেক্সিকো চষে বেড়িয়েছেন। কিন্তু ছিয়াশির মহানায়ক বুট পায়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেও ডাগআউটে দাঁড়িয়ে তেমন সফলতা পাননি। 

ম্যারাডোনা অবশ্য নাছোড়বান্দা। কোনো ব্যর্থতাই ৫৮ বছর বয়সী সাবেক লা আলবিসেলেস্তে মিডফিল্ডারকে কোচিং করানো থেকে বিরত রাখতে পারেনি।

মেক্সিকো অধ্যায় শেষে তিনি আবার ফিরে এসেছেন আর্জেন্টিনায়। দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির সুপারলিগার ক্লাব জিমনেশিয়া লা প্লাতার। তবে দলটি এখন আছে অবনমনের শঙ্কায়।

রেলিগেশন এড়াতে যার কারণে ম্যারাডোনাকে নতুন কোচের পদে নিয়োগ দিয়েছে জিমনেশিয়া। চলতি মৌসুমের শেষ পযর্ন্ত ক্লাবটির প্রধান কোচ থাকবেন তিনি। ফুটবল মহানায়কের সঙ্গে চুক্তির পর বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জিমনেশিয়া কর্তৃপক্ষ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, ‘বিশ্ব ফুটবলের তারকা, ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা, জিমনেশিয়ার নতুন কোচের পদে চুক্তি করেছেন। চলতি মৌসুম শেষ না হওয়া পযর্ন্ত এই চুক্তি চলবে। ’ 

২০১০ সালের পর এই প্রথম কোচ হয়ে আবার আর্জেন্টিনায় ফিরলেন ম্যারাডোনা। জিমনেশিয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি নিজেও খুশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ম্যারাডোনা লেখেন, ‘জিমনেশিয়ার কোচ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল পেল্লেগ্রিনোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং সমর্থকদের বলতে চাই যে, দ্য উল্ফের জন্য আমরা মনে প্রাণে কাজ করে যাব। ’ 

সমর্থকদের কাছে জিমনেশিয়া এল লোবো বা দ্য উল্ফ নামেও পরিচিত। বুয়েন্স এইরেসের বাইরের এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৭ সালে। এটি আমেরিকার পেশাদারি ফুটবলের সবচেয়ে পুরাতন ক্লাবের একটি। চলতি মৌসুমে জিমনেশিয়া ৫ ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। সুপারলিগার ২৪ দলের মধ্যে পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে অবস্থান ম্যারাডোনার নতুন দলের।  

প্রায় এক যুগ পর কোচ হয়ে ঘরে ফিরলেন ম্যারাডোনা। এর আগে তিনি ২০০৮ থেকে ২০১০ পযর্ন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। ১৯৮৬ সালে আকাশী-নীলদের বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই তারকা প্রথম কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯৪ সালে, আর্জেন্টাইন ক্লাব মান্দিউর হয়ে। পরের বছর তিনি দায়িত্ব নেন সুপারলিগার রেসিং ক্লাবের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
ইউবি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।