ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

স্পেন ও মেসিকে মিস করেন রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
স্পেন ও মেসিকে মিস করেন রোনালদো উয়েফার অনুষ্ঠানে মেসি ও রোনালদো

দুজনের দুটি পথ আলাদা হয়ে গেছে গত মৌসুমের শুরুতেই। আগের মতোই নিজের ‘একমাত্র’ ঠিকানা বার্সেলোনাতেই আছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু প্রিয় রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে ঠিকানা ও লিগ পাল্টে গেলেও স্পেন আর মেসিকে এখনও ভুলতে পারেননি পর্তুগিজ উইঙ্গার।

বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের অসংখ্য লড়াইয়ে আলো ছড়িয়েছেন মেসি ও রোনালদো। দুজনে মিলে ভাগ করে নিয়েছেন ১০টি ব্যালন ডি’অর।

তবে গত বছর রোনালদোর বিদায়ের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এখন দুজনেই দুজনকে মিস করতে শুরু করেছেন। ফুটবল মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তারা দুজনেই তো আসলে রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে মেসি আর রোনালদোকে পাশাপাশি পেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ উপস্থাপিকা রেশমিন চৌধুরী দুজনের কাছেই প্রশ্ন রাখেন এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে, যার জবাবে রোনালদো বলেন, ‘আমি এটা ভেবে অবাক হই, ১৫ বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও আমাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। ’

স্পেন আর মেসিকে মিস করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রোনালদো বলেন, ‘আমি স্পেনে খেলার দিনগুলোকে মিস করি। মেসি আমার মধ্যে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। আমরা একজন আরেকজনকে সেরা হতে সাহায্য করেছি। এটা ফুটবল ইতিহাসের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমাদের এখনো একসঙ্গে ডিনারে বসা হয়নি। হয়তো ভবিষ্যতে হবে। ’

রোনালদোর বয়স এখন ৩৪। মেসির চেয়ে দুই বছরের বড় হলেও নিজেকে এখনও তারুণ্যে ভরপুর একজন বলেই মানেন এই উইঙ্গার, ‘মেসি আমার চেয়ে ২ বছরের ছোট। কিন্তু বয়স বেশি হলেও আমার ফিটনেস ভালো। আশা করি আগামী কয়েক বছর এখানে আসতে পারব। যারা আমাকে অপছন্দ করে তারা আবার আমাকে দেখবে। ’

এদিকে রোনালদো স্পেন ছেড়ে ইতালিতে পাড়ি জমালেও প্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বীর খেলা ঠিকই দেখেন মেসি। নিজেই জানালেন সে কথা, ‘লা লিগায় রোনালদোকে পাওয়া ছিল দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে সে যেহেতু রিয়াল মাদ্রিদে ছিল। এখন সে অন্য একটি বিখ্যাত ক্লাবে খেলছে এবং আমরা স্পেন থেকে তার খেলা উপভোগ করি। ’

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে বসেছিলেন মেসি ও রোনালদো। বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোয়ন পাওয়ায় প্রথম সারির দুই আসনে পাশাপাশি বসেছিলেন দুজনে। তৃতীয় আসনটি ছিল ভার্জিল ভন ডাইকের দখলে।  

শেষ পর্যন্ত উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তকমা গেছে ‘অল রেডস’ ডিফেন্ডার ভন ডাইকের দখলে। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মেসি আর তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রোনালদোকে। তবে মেসিকে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয়নি। কারণ বর্ষসেরা ফরোয়ার্ডের পুরষ্কার জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

মেসি ও রোনালদোর সেই ছোট্ট সাক্ষাৎকারটি দেখুন এখানে

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।