ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

বাংলাদেশের ফুটবল অপার সম্ভাবনাময়: কলিনদ্রেস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৯
বাংলাদেশের ফুটবল অপার সম্ভাবনাময়: কলিনদ্রেস লিগের সেরা খেলোয়াড় বসুন্ধরার কলিন্দ্রেস, ছবি: শোয়েব মিথুন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের অভিষেক আসরেই বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা কিংস। এক কথায় যাকে বলে- এলাম, দেখলাম, জয় করলাম। শুষ্ক ঘরোয়া ফুটবলে এক পশলা বৃষ্টির মতো হাজির হয়েছে যেনো একঝাঁক তারকাখচিত দলটি। আর দলটির সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা নিঃসন্দেহে দেনিয়েল কলিনদ্রেস। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কোস্টারিকান ফরোয়ার্ডের নেতৃত্বেই অভিষেকে এসেছে দুই শিরোপা।

বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা জেতার পেছনে দারুণ ভূমিকা রাখা কলিনদ্রেস এরইমধ্যে এদেশের ফুটবলের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিয়েছেন। মাঠেও তার পা জোড়া দেখিয়েছে অনন্য ফুটবল জাদু।

তবে এদেশের ফুটবল নিয়ে তার চিন্তা রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো। যেনো দেশের ফুটবলের অতি আপন কেউ। তাই তো অকপটে বললেন, ‘বাংলাদেশে ফুটবলের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। যদি সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়, তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। এখানে অনেক ভালো ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। তাদের ঠিকঠাক যত্ন নিলে জাতীয় দলের জন্যও ভালো হবে। ’

প্রিমিয়ার লিগের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কলিনদ্রেস। পুরো মৌসুমেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। করেছেন ১১টি দৃষ্টিনন্দন গোল। কিন্তু এতসব গোলের মাঝে নিজের প্রিয় গোল বেছে নিতে বললে তার জবাব, ‘গোল করা নয়, ম্যাচ জেতাই আসল সাফল্য। আমরা গোল করতেই মাঠে নামি। কিন্তু ম্যাচ না জিতলে গোলের মূল্য থাকে না। ’

পুরো মৌসুমে মাত্র এক ম্যাচে হেরেছে বসুন্ধরা কিংস। গড়েছে টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের অনন্য কীর্তি। এমন অসামান্য সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে কলিনদ্রেস বলেন, ‘দলের সবাই ভালো খেলেছে। আমরা সবাই মিলে একটা দুর্দান্ত দল হতে পেরেছি বলেই সাফল্য ধরা দিয়েছে। তবে আগামী মৌসুমে আরও ভালো করতে চাই। ’

সাফল্যের পেছনে কোচ অস্কার ব্রুজোনের অবদানের কথাও জানাতে ভুলেননি কলিনদ্রেস, ‘ব্রুজোন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের। তিনি সবসময় আমাদের সেরাটা বের করে আনতে সহায়তা করেন। তার অধীনে খেলে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। তার গোছানো পদ্ধতি আমাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। অনুশীলন, ট্রেনিং আর গেম প্ল্যানিং, সবকিছুতেই তিনি কঠোর নিয়ম মানায় বিশ্বাসী। তিনি আসলেই দুর্দান্ত। ’

সবশেষে ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভুললেন না কলিনদ্রেস। জানালেন, ‘বসুন্ধরা কিংস আমাদের সব খেয়াল রেখেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সব চাহিদা পূরণ করায় মাঠে সেরাটা দিতে আমাদের মোটেও অসুবিধা হয়নি। তারা শুধু সাফল্য চেয়েছেন। যেটা আমরা করে দেখাতে সক্ষম হয়েছি। এমন একটা ক্লাবের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত...। ’

কথা শেষ করার আগেই কলিনদ্রেসকে টেনে নিয়ে গেলেন ক্লাব সতীর্থরা। ৯০ মিনিট মাঠে দৌড়ানোর ধকল তখন উধাও। এখন তো উৎসবের সময়। আনন্দের সময়। কথা না বাড়িয়ে তাই সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে মেতে উঠলেন কলিনদ্রেস সোলেরা। উৎসবের মধ্যমণি যে তিনিই।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এমএইচএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।