ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

পুরো সিরিজেই ব্যর্থ তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
পুরো সিরিজেই ব্যর্থ তামিম ছবি:সংগৃহীত

বিশ্বকাপের ব্যর্থতাই যেন শ্রীলঙ্কা সফরে বয়ে আনলেন তামিম ইকবাল। তাইতো তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের কোনোটিইতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না তিনি। সর্বশেষ তৃতীয় ম্যাচে ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরেন তামিম। দলীয় দ্বিতীয় ওভারে কাসুন রাজিথার বলে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরাকে ক্যাচ দেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে এই সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া তামিম যথাক্রমে ০ ও ১৯ রানে বিদায় নিয়েছিলেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ৪ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৮ রান করেছে।

এর আগে ক্যাচ মিস, বাজে লাইন-লেন্থ মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও বোলিংয়ে হতাশা ছড়ায় বাংলাদেশ।

আর এই সুযোগে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, কুশল মেন্ডিসরা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ব্যাট হাতে এখন ২৯৫ রানের পাহাড় পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের।

নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে ৮৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাথিউস। ফিফটি তুলে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। ফিফটি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্মান রক্ষার তৃতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।

আগের দুই ম্যাচে লঙ্কান ওপেনাররা বড় স্কোর গড়লেও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শুরুতেই লঙ্কান শিবিরে ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে ফেলে ফেরান শফিউল। আউট হয়ে ফেরার আগে ১৪ বলে ৬ রান করেন লঙ্কান ওপেনার।

শুরুতেই আভিশকা ফার্নান্দোকে হারিয়ে বসা শ্রীলঙ্কাকে ক্রমেই বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। কিন্তু ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরত্বে থাকা করুনারত্নেকে ফিরিয়ে ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম।  

পরের ওভারেই ফিফটির পথে ছুটতে থাকা আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরাকে (৪২) বিদায় করেন রুবেল হোসেন। দুটি ক্যাচই গেছে উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। ৯৮ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাথিউস ও মেন্ডিস ক্রমেই লঙ্কান ইনিংস বড় সংগ্রহের পথে টেনে নিচ্ছিলেন। দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের দিকে টেনে নিচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুজনে মিলে ১০১ রানের বিশাল জুটি গড়েছিলেন। অবশেষে এই জুটি ভেঙে মেন্ডিসকে তুলে নেন সৌম্য।  

অপরদিকে ফিফটি তুলে নিয়ে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন ম্যাথিউস। যদিও দু’বার জীবন পেয়েছেন তিনি। প্রথমবার শফিউলের বলে ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক মুশফিক। এরপর ৪৬তম ওভারে লং-অন থেকে দৌড়ে এসেও ক্যাচ মিস করেন সাব্বির। পরে অবশ্য শানাকার (৩০) ক্যাচ নিয়ে কিছুটা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি।

শেষদিকে লঙ্কান ইনিংসে হালকা ঝড় বইয়ে দেন সৌম্য। শেষ অভারের প্রথম দুই বলেই তুলে নেন ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট। এর মধ্যে ম্যাথিউসকে মুশফিকের ক্যাচে আর ধনঞ্জয়াকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। কিন্তু ওই ওভারের পঞ্চম বলে ফের ক্যাচ মিস করেন সাব্বির। এবার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার তুলে মারা বল লং-অনে থাকা সাব্বিরের হাত গলে বেরিয়ে যায়।

বল হাতে ৯ ওভারে ৫৬ রান তুলে নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার সৌম্য। ৩ উইকেট পেয়েছেন শফিউলও। তবে তিনি ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৬৮ রান। ১ উইকেট করে গেছে রুবেল ও তাইজুলের ঝুলিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।