ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

চার দশকের পেরু নাকি এক যুগের ব্রাজিল, কে ঘোচাবে খরা!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৯
চার দশকের পেরু নাকি এক যুগের ব্রাজিল, কে ঘোচাবে খরা! ছবি:সংগৃহীত

দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের হাতছানি দিচ্ছে ব্রাজিলকে। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পেরুকে হারাতে পারলেই লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অপরদিকে পেরুও মুখিয়ে আছে চার দশকের চ্যাম্পিয়ন খরা ঘোচাতে। ফলে দুই দলের সামনেই এক নতুন দিগন্তের হাতছানি।

রোববার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে রিও ডি জেনেরিওর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকা ২০১৯ এর ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ব্রাজিল ও পেরু। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২ টায়।

এখন পর্যন্ত আট বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল যার সর্বশেষটি ২০০৭ সালে। আর পেরুর ঘরে গেছে দুই শিরোপা, সর্বশেষ ১৯৭৫ সালে। স্বাগতিক হিসেবে কোপা আমেরিকায় ৪ বার অংশগ্রহন করে প্রতিবারই শিরোপা ঘরে তুলেছে ব্রাজিল। ঘরের মাঠে আরেকবার শিরোপার উল্লাসে মাততে এই ফাইনালেও তাই ব্রাজিলই ফেবারিট।

এবার অবশ্য পেরু টিম মরিয়া শতবর্ষ প্রাচীন এই টুর্নামেন্টে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হতে। টিমের স্ট্রাইকার রাউল রুইদিয়াজ তো বলেই দিয়েছেন, 'আমরা ঠাণ্ডা মাথায় ধীরে ধীরে প্রতি ম্যাচে উন্নতি করছি। তাই উরুগুয়ে, চিলির মতো দুই সেরা টিমকে হারিয়ে আজ ফাইনালে। এবার ব্রাজিলকে হারানোর জন্য আমরা আত্মবিশ্বাসী। বহু বছর পর দেশকে কোপার স্বাদ দেওয়ার স্বপ্নে আমরাও মরিয়া। '

মরিয়া মেজাজ দেখাচ্ছেন ব্রাজিল কোচ তিতেও। রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে তিতের হাত ধরে ব্রাজিল টিম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও কোপায় নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম দুই ম্যাচে দর্শকদের বিদ্রুপের শিকার হতে হয়েছিল দানি আলভেজদের। সেদিক মাথায় রেখেই তিতে বলেছেন, 'কোপা জেতাটা জরুরি দেশের মানুষের মনে আমাদের সম্পর্কে সমীহ ফেরানোর জন্য। ' তাই লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি, তা বোঝাই যায়!’

দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে একক আধিপত্য অবশ্য ব্রাজিলের। ৪৬ বারের দেখায় ৩২ বারই শেষ হাসি হেসেছে সেলেকাওরা। বিপরীতে পেরুর জয় মাত্র ৪টি। গত ৪৪ বছরে মাত্র একবার পেরুর বিপক্ষে হেরেছে ব্রাজিল। সর্বশেষ দুই দেখায় পেরুর জালে মোট ৭ বার বল পাঠিয়েছে তারা। বিপরীতে গোল হজম করেনি একটিও। তবে পেরুকেও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা ইতিহাস বলছে, পেরুই একমাত্র দল যারা দুইবার কোপার ফাইনালে উঠে দু'বারই শিরোপা জিতেছে। ১৯৩৯ ও ১৯৭৫ সালে শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় তারা।

এদিকে টুর্নামেন্টের আগেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে হারালেও ম্যাচে কমই টের পাওয়া গেছে তার অনুপস্থিতি। কৌতিনহো, জেসুস, ফিরমিনোদের দলগত পারফরম্যান্সে যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে ওঠার পর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় পায় তিতের দল। সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে হারায় ২-০ গোলে।

অপরদিকে টানা দুই বারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে পেরু। শেষ ম্যাচের আগে অনেকেই ভেবেছিলেন টানা তৃতীয়বার ফাইনাল খেলবে চিলি। কিন্তু দুর্দান্ত খেলেই ভিদাল-সানচেজদের বিদায়ের টিকেট ধরিয়ে দেয় পেরুভিয়ান ফুটবলাররা। তবে পেরুর হয়ে এ ম্যাচে মাঠে নামা অনিশ্চিত দলটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার জেফারসন ফারফানের।

আর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে ফাইনাল থেকে ছিটকে গেছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার উইলিয়ান। তাই এ ম্যাচেও শুরু থেকেই একাদশে থাকা প্রায় নিশ্চিত এভারটনের। আগের ম্যাচে দলের বাইরে থাকা লেফট ব্যাক ফেলিপ্পে লুইস ফিট হয়ে একাদশে ফিরতে পারেন এ ম্যাচে।

সম্ভাব্য ব্রাজিল একাদশ: অ্যালিসন, আলভেজ, মারকুনিয়োস, সিলভা, লুইস, আর্থার, ক্যাসিমিরো, জেসুস, কুতিনহো, এভারটন, ফিরমিনো।

সম্ভাব্য পেরু একাদশ: গাইয়েসে, আদবিনকুলা, সাম্ব্রানো, আব্রাম, ত্রাউকো, ইয়োতুন, তাপিয়া, কাররিয়ো, কুয়েবা, ফ্লোরেস, গেররেরো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এইচএমএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।