ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ফাইনালে টটেনহ্যাম

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ফাইনালে টটেনহ্যাম জয়ের পর টটেনহ্যামের খেলোয়াড়দের উল্লাস

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রূপকথার জন্ম দিলো ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। বার্সেলোনার বিপক্ষে লিভারপুলের অবিশ্বাস্য জয়ের পর আরো একটি অবিশ্বাস্য জয় দেখলেন বিশ্ববাসী। প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইংলিশ ক্লাবটি দ্বিতীয় লেগেও পিছিয়ে পড়ে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলের অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নেয় স্পার্স বাহিনী। আর এই জয়ের নায়কের নাম লুকাস মোউরা। দুদার্ন্ত এক হ্যাটট্রিক করে ৩-২ গোলের জয় এনে দেন টটেনহ্যামকে। 

ঘরের মাঠ আমস্টারডাম অ্যারিনাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে শুরুতে গোল পেয়ে যায় ডাচ ক্লাব আয়াক্স। চতুর্থ মিনিটে দুসান তাদিচেন শট ফিরিয়ে দেন হুগো লরিস।

সেই কর্নার থেকেই হেড দিয়ে গোল করে দলকে লিড এনে দেন দি লিট।

৩৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আয়াক্স। পেনাল্টি ডিবক্সের ভিতরে বাম পাশ থেকে দুসান তাদিচের পাস থেকে বল পেয়ে যান হাকিম জিয়েক। বাম পায়ের জোরালো শটে বল লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ফাইনালের আশা ফিকে হয়ে যায় ইংলিশ ক্লাবটির।

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে টটেনহ্যাম। আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় তারা। ৫৩ মিনিটে ডেলে আলী শট ফিরিয়ে দেন আয়াক্স গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। অবশ্য এরপরেই সাফল্যও পেয়ে যায় অতিথি দলটি। ৫৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডেলে আলীর কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক গোলে ব্যবধান কমান লুকাস মোউরা।

এর তিন মিনিট পর আবারো মোউরার আঘাত। টটেনহ্যামের একটি আক্রমণ ঠোকাতে গিয়ে আয়াক্স গোলরক্ষক বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফসকে যাওয়া বল জটলায় দাঁড়িয়ে থাকা মোউরা পেয়ে যান। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।

হতাশ আয়াক্সের খেলোয়াড়রা৬৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আয়াক্স। কিন্তু সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন জিয়েক। তাদিচের পাস থেকে বল পেয়ে গোলপোস্ট অনেকটা ফাঁকা পেয়েও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭৯ মিনিটে জিয়েকের আরো একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৮৭ মিনিটে কর্নার থেকে হিউং মিন সংয়ের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ওনানা।

ম্যাচের নাটকীয় মূহূর্তটি আসে ইনজুরি সময়ের পঞ্চম মিনিটে। ডেলে আলীর পাস থেকে ডিবক্সের ভিতরে বল পেয়ে মোউরা বাম পায়ের শটে বল ডান পাশ দিয়ে পাঠিয়ে দেন আয়াক্সের জালে। হ্যাটট্টিক পূরণ করে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। এতে স্বপ্ন ভঙ্গের হতাশায় ডুবতে হয় স্বাগতিকদের।

এরপর আর কোনো সুযোগ পায়নি আয়াক্স। দুই লেগ মিলে ৩-৩ গোলে সমতায় ম্যাচ শেষ হলেও অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে প্রথমবারে মতো ফাইনালে ওঠে পচেত্তিনোর শিষ্যরা।

আগামী ১ জুন মাদ্রিদেও ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ‘অল ইংলিশ’ ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা যাবে ইংল্যান্ডে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
আরএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।