ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

কক্সবাজারে জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা শুরু শুক্রবার

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
কক্সবাজারে জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা শুরু শুক্রবার সমুদ্র সৈকতে সার্ফাররা, ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সার্ফিং প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী করে অপূর্ব ক্রীড়া শৈলী প্রদর্শন করবেন কক্সবাজারের শতাধিক সার্ফার।

এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশন।

প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন সার্ফার তৈরি, বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে এমনই আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশনের যুগ্ম সেক্রেটারি মোয়াজ্জেম হোসেন রোকন বাংলানিউজকে জানান, এবারের প্রতিযোগিতায় ১১টি ক্লাবের প্রায় দেড়শো সার্ফার অংশ নেবে। এরমধ্যে ১০জন নারী সার্ফার রয়েছেন।

শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবীর এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ সার্ফ গার্লস অ্যান্ড বয়েজ ক্লাবের পরিচালক ও বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশনের সদস্য সার্ফার মো. রাশেদ বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজারের সার্ফারেরা সারাবছরই অনুশীলন করেন। কিন্তু বছরে একটি মাত্র প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তাই এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে স্থানীয় সার্ফারদের উৎসাহ উদ্দীপনার অন্ত নেই।

বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশনের সদস্য সার্ফার বলেন, এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে গত দেড়মাস ধরে শুধুমাত্র বাংলাদেশ সার্ফ গার্লস অ্যান্ড বয়েজ ক্লাবের ৪৫ জন সার্ফার অনুশীলন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও কক্সবাজারের শতাধিক সার্ফার অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সমুদ্রসৈকতে সার্ফার আয়েশা আকতার।  ছবি: বাংলানিউজ‘সার্ফিং একটি ইন্টারন্যাশনাল স্পোটর্স। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার মতো অনেক সার্ফার কক্সবাজারে আসেন, কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাচ্ছেন না। এ প্রতিযোগিতাকে এগোতে হলে আরও বেশি পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন।

সার্ফিং এর মাধ্যমেই খুব সহজে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে বলে যোগ করেন রাশেদ।

সার্ফার রশিদ আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রতিযোগিতা নিয়ে কক্সবাজারের সার্ফারেরা খুবই উৎফুল্ল। অনেকদিন আগে থেকে আমরা প্র্যাকটিস শুরু করেছি। আমরা এই প্রতিযোগিতা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। আমরা বছরের ১২ মাসই প্র্যাকটিস করি। কিন্তু ঢেউ পাই ছয় থেকে সাতমাস। গত একমাস ধরে আমরা খুব ভাল ঢেউ পাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, আমরা এবারের প্রতিযোগিতায় খুব ভাল করবো।  

এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন সার্ফার মো. শুক্কুর।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শতাধিক সার্ফারের মধ্যে এবারে থাকছেন ১০জন নারী। এদের দু’জন শবে মেহেরাজ ও আয়েশা আকতার। এবারে নারীবিভাগে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিততে দু’জনই দৃঢ় প্রত্যয়ী।

শবে মেহেরাজ বাংলানিউজকে বলেন, আমি অনেক মনোযোগ দিয়ে দিনে দুই-তিনবারও অনুশীলন করছি। যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আমি সারাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশেও নারী সার্ফার আছে। আমার স্বপ্ন বিদেশের সৈকতে গিয়ে সার্ফিং করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা।

২০১৭ সালে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ২০১৮ সালে আমি দ্বিতীয় হয়েছি। ২০১৯ সালেও আমি আবারও চ্যাম্পিয়ন হবো, এই প্রত্যাশা করছি-যোগ করলেন মেহেরাজ।

আয়েশা আকতার বলেন, আমি খুব মনোযোগ দিয়ে নতুন বোট নিয়ে প্র্যাকটিস করছি। ইনশাল্লাহ এবারে আমি খুব ভাল করবো। সার্ফিংকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন, আমার ইচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে সার্ফিং করা। সেখানে সফলতা দেখিয়ে দেশের জন্য অনেক সুনাম বয়ে আনবো।

বাংলাদেশ সার্ফিং ফেডারেশনের সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আফসার, পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন’র পরিচালক ইকবাল বিন আনোয়ার ডনসহ অন্যান্যরা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এসবি/এএটি              

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।