ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

কোয়ার্টারের গেরো ছাড়াতে পারবে বার্সেলোনা?

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
কোয়ার্টারের গেরো ছাড়াতে পারবে বার্সেলোনা? চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টারে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-বার্সেলোনা

সেই ২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার পর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই তিনবার বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে একই সময়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ঘরে তুলেছে হ্যাটট্রিক শিরোপা।

গত তিনবার বার্সেলোনাকে কোয়ার্টার থেকেই বিদায় করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও রোমা। গতবারের বিদায় তো কাতালান জায়ান্টদের জন্য এখনও কাঁটার মতো যন্ত্রণা দেয়, কেননা সেবার প্রথম লেগে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেও বিদায় নিতে হয়েছিল।

সেই থেকে এখন পর্যন্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে লড়ে যাচ্ছে আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা।

সাম্প্রতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম ধাপে বুধবার (১০ এপ্রিল) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আতিথ্য নেবেন লিওনেল মেসিরা। প্রথম লেগের ম্যাচটি ম্যানইউ’র ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড অনুষ্ঠিত হবে।

শেষ ষোলোর ম্যাচে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগে পিছিয়ে থেকেও পরের ম্যাচে নেইমারদের ঘরের মাঠে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ আটে পা রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউইনাইটেড। ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে বার্সাকেও যন্ত্রণায় বিঁধতে চাইবে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যরা।

দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম ও ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ম্যানইউ’র চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে আছে বার্সা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ স্থানে থাকা ম্যানইউ’র জন্য লা লিগার শীর্ষে থাকা দলের লড়াইয়ে অসমতা তো থাকবেই।

শেষ তিনবারের দেখায় ম্যানইউ’কে দুইবার হারিয়েছে বার্সেলোনা। ২০০৭-০৮ মৌসুমের সেমিফাইনালে বার্সাকে হারিয়েই ফাইনালে পা রেখেছিল অ্যালেক্স ফার্গুসনের শিষ্যরা। এরপর ২০০৯ ও ২০১১ সালে টুর্নামেন্টের ফাইনালে সেই হারের নির্মম প্রতিশোধ নিয়েছিল কাতালানরা।

এই ম্যাচে ম্যানইউ’র জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় বার্সা অধিনায়ক মেসি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসি চলতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ গোলদাতার আসনে বসে আছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানইউ’র বিপক্ষে ৪ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। এর মধ্য ২ ম্যাচে জয়, ১টিতে হার আর ১টিতে ড্র নিয়ে মাঠে ছেড়েছে তার দল।

ম্যানইউ’র বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ২ গোল করলেও কোনো অ্যাসিস্টে নাম লেখাতে পারেননি মেসি। তবে সর্বশেষ দেখায় দুই ফাইনালেই ১টি করে গোল করে বার্সাকে ইউরোপ সেরার মুকুট পরিয়েছিলেন। শেষবার ২০১১ সালের ফাইনালে ম্যানইউ’কে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বার্সা। তবে শেষ ১০ ম্যাচে ১৩টি গোল আর ৪টি অ্যাসিস্ট নিয়ে যেকোনো দলের জন্যই এখন বড় বিপদের নাম মেসি।

মেসি ছাড়াও বার্সার ভাণ্ডারে লুইস সুয়ারেজ, ফিলিপ্পে কৌতিনহোর মতো সাবেক লিভারপুল তারকা আছেন। দুজনেই ম্যানইউ’র বিপক্ষে বেশ কিছু খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

ইংলিশ জায়ান্টদের সবচেয়ে বড় ভরসা পল পগবা। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার পর এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার। ইনজুরির কারণে ওলভসের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে মাঠে নামতে না পারা মার্কাস রাশফোর্ড ও আন্দ্রে হেরেরা আজ একাদশে ফিরতে পারেন।

সুলশারের বড় দুশ্চিন্তা মাত্তেও ডার্মেইন, এরিক বেইলি, আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া ও অ্যালেক্সিস সানচেজের দলে না থাকা। তাছাড়া হেরেরা, অ্যাশলি ইয়ং, লুক শ এবং নেমানিয়া মাতিচ আর একটি করে হলুদ কার্ড দেখলেই পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে হবে।

দু’দলের পার্থক্য যতোই থাক না কেন, বার্সা কোচ এখনও মাটিতেই পা রাখছেন। তবে বার্সা ভক্তরা এই ম্যাচেই মেসির জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় থাকবে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয় নিয়ে ফিরতে পারলে ঘরের মাঠে রেড ডেভিলস’দের ঠেকিয়ে দেওয়া মেসিদের জন্য বেশ সহজ হবে বলেই বিশ্বাস বার্সা সমর্থকদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।