ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

বেয়ারস্টো-ওয়ার্নার ঝড়ে উড়ে গেল ব্যাঙ্গালুরু

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
বেয়ারস্টো-ওয়ার্নার ঝড়ে উড়ে গেল ব্যাঙ্গালুরু ওয়ার্নার আর বেয়ারস্টোর ঝড়ো সেঞ্চুরিতেই বিশাল সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ-ছবি: সংগৃহীত

ব্যাট হাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু’র বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনেই তুলে নিয়েছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। গড়েছেন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। আর এই দুইয়ের ঝড়ে রীতিমত উড়ে গেছে ব্যাঙ্গালুরু। হেরেছে ১১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।

রোববার (৩১ মার্চ) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়াই মাঠে নামে হায়দরাবাদ। তাতে অবশ্য ম্যাচ জিততে কোনো অসুবিধাই হয়নি তাদের।

বরং দুই ওপেনার মিলেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন।

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে অবিশ্বাস্য গতিতে রান তুলতে থাকেন বেয়ারস্টো ও ওয়ার্নার। ১৮৫ রান পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ছিলেন এই দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তাদের এই জুটি আইপিএলের ইতিহাসে যেকোনো জুটিতেই রেকর্ড। এর আগে ২০১৭ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ১৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের গৌতম গম্ভীর ও ক্রিস লিন।

টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসেই দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি পাওয়ার মাত্র চতুর্থ ঘটনা এটি। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি গড়েছিলেন গ্লসেস্টারশায়ারের কেভিন ও’ব্রায়েন ও হামিশ মার্শাল। ২০১৬ সালে আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে একই কীর্তি গড়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।

আক্রমণাত্বক ব্যাটিং দিয়ে ইনিংস শুরু করেন বেয়ারস্টো। অপরপ্রান্তে তাই কিছুটা দেখেশুনে ইংলিশ সঙ্গীকে সঙ্গ দেওয়াকেই ভালো মনে করেন ওয়ার্নার। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যুজবেন্দ্র চাহালের স্পিনে কুপোকাত হওয়ার আগে মাত্র ৫৬ বল মোকাবেলায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন বেয়ারস্টো। তাই এ ইনিংস ১২টি চার ও ৭টি ছক্কায় সাজানো।

সঙ্গী হারানোর পর ঝড় তোলার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন ওয়ার্নার। ৪২ বল খেলে একসময় তার রান ছিল মাত্র ৭০। বাকি ৩০ রান তুলতে তিনি খরচ করেন মাত্র ১২ বল। ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ২ বল আগে মোহাম্মদ সিরাজের বলে চার হাঁকিয়ে নিজের চতুর্থ আইপিএল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই অজি ব্যাটিং জিনিয়াস, যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার সমান সেঞ্চুরি আছে কোহলি ও শেন ওয়াটসনের। তবে ৬ সেঞ্চুরি নিয়ে সবার উপরে গ্রিস গেইল।

শেষ পর্যন্ত ঠিক ১০০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ওয়ার্নার। দুই ওপেনারের অমন বিধ্বংসী রূপে ফেরায় মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে আইপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ (২৩১) পায় হায়দরাবাদ।  

জবাবে মাত্র ১৩ রানে ওপেনার পার্থিব প্যাটেলের উইকেট হারানো ব্যাঙ্গালুরু ৩৫ রানে হারায় ৬ উইকেট। শিমরন হেটমায়ার (৯) কোহলি (৩), ডি ভিলিয়ার্স (১), মঈন আলী (২) কেউই দুই অঙ্কের দেখা পাননি।  

ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসে একমাত্র কলিন দে গ্র্যান্ডহোম ৩২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে শতরানের কোটা পার করান। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ বল পর্যন্ত ব্যাট করে ১১৩ রান সংগ্রহ করতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে ব্যাঙ্গালুরু।

বল হাতে আসল কাজটা সারেন আফগান স্পিন-অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই অফ-স্পিনার। তার এই ৪ উইকেটের মধ্যে ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ছাড়াও আছে ডি ভিলিয়ার্সের উইকেট। বাকি ৩ উইকেট গেছে সন্দ্বীপ শর্মার দখলে।

৩ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। আর টানা তিন পরাজয়ে টেবিলের তলানিতে কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।