ঢাকা: হকিতে অপরিচিত মুখ ও আগের ব্যর্থ কমিটির অনেক সদস্যকে অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা দেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন হকি সংগঠকরা।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল এসএম জিয়াউর রহমানকে সভাপতি ও খাজা রহমত উল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের এডহক কমিটি ঘোষণা করে।
তবে নতুন কমিটিতে পুরনো কমিটির সদস্যদের আধিক্য থাকায় যে উদ্দেশ্য নিয়ে অ্যাডহক কমিটি করা হয়েছে সেটা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন হকি সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অ্যাডহক কমিটির অপর ১১ সদস্যের মধ্যে চারজন হকি সংশ্লিস্ট নন। এরা হলেন- সহ-সভাপতি আহসান কবির খান, সদস্য জসীম উদ্দিন, কামরুল ইসলাম রিপন এবং কামরুল-উর-রশিদ।
অ্যাডহক কমিটি বিষয়ে আবাহনী লিমিটেডের হকি সম্পাদক শহিদুল্লাহ দোলনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে,“খুব ভালো কমিটি যে হয়েছে, তা নয়। মাঝারি মানের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটির কয়েকজনকে আমি নিজেও জানি না। কিভাবে তাদের আনা হলো তাও বুঝতে পারছি না। ”
মোহামেডান হকি কমিটির সম্পাদক সাজেদ এএ আদেলের বলেন,“এনএসসি’র উচিত ছিল হকি খেলে এমন কাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা। এতে ভাল এবং গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠন করতে পারতো এনএসসি। ” তবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাবেক খেলোয়াড় খাজা রহমতউল্লাহকে বেছে নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সাজেদ এ আদেল।
অ্যাডহক কমিটির তালিকা দেখে অবাক হয়েছেন ১৯ বছর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা শামসুল বারীও,“হকির সঙ্গে সম্পর্ক আমার দীর্ঘ দিনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঘোষিত বর্তমান অ্যাডহক কমিটির চারজনকে তো আমি চিনিই না। ” তিনি আরো বলেন,“ সহ-সভাপতি পদে নাম দেখলাম আহসান কবির খানের এবং সদস্য পদে জসীম উদ্দিন, কামরুল ইসলাম রিপন ও কামরুল-উর-রশিদ। এরা কারা আমি জানি না। এছাড়া হকির অন্যতম কিংবদন্তি খেলোয়াড় আব্দুস সাদেককে করা হয়েছে চার নম্বর সহ-সভাপতি। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ক্রীড়াবিদের জন্য কি এটা অসম্মানের নয়? ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ২২ নভেম্বর, ২০১১